রিমা প্রামানিক(২০) কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড অর্থোপেডিক সেন্টারে নার্সের চাকরি করতেন। সোমবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে রিমার মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ।
রিমা প্রামানিক পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরিজকান্দি গ্রামের সেন্টু প্রামাণিকের মেয়ে।
তার পরিবার সূত্রে জানা জায়, গত বুধবার হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে রিমা। পরের দিন শনিবার পুলিশে চাকুরী নিবে বলে, হাসপাতালে পদত্যাগ পত্র দিয়ে যায়। পরবর্তীতে রবিবার হাসপাতাল কতৃপক্ষ বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নেন।
সোমবার তার মৃত দেহ হাসপাতালের একটি কক্ষে পাওয়া যায়। রিমার পরিবার দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, আমরা হাসপাতালে এসে দেখি রিমার গলায় উড়না প্যাঁচানোর দাগ, আমার মেয়ে হসপিটালে কেন গলায় ফাঁস দিবে? পুলিশের সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক।
এগুলো নাটক আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, রিমার পরিবার আরও বলেন হসপিটালের চাকুরী ছেড়ে চলে যাবে বলেই এই হত্যা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই দাবী আমার মেয়েকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি চাই।
আমার মেয়েকে বিছানায় শোয়া দেখেছি,রিমার পরিবার বলছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে রিমার এলাকয় রিমার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেনা,তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দারা দাবী করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে হসপিটালের একটি রুমের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান হত্যাকারীর কোন ছাড় নেই,চাকুরী ছাড়ার বিষয় নিয়ে এই হত্যা হতে পারে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জে মর্গে পাঠানো হয়েছে।