পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার উপলক্ষে দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থদের চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগে শনিবার (৯ জুলাই) দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫৭ বস্তা জব্দ দেখিয়ে সিলগালা করেন ইউএনও পরিমল কুমার সরকার।
উপজেলা সুত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থদের পরিবার যাতে সুন্দর ভবে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল উপহার দিয়েছেন। সেই হিসাবে ৪নং দিওড় ইউনিয়নে ৪ হাজার ২’শত পরিরারের জন্য চাল প্রতিবস্তা ৩০ কেজির বস্তা হিসেবে ১হাজার ৪’শত বস্তা চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু, সরকারি ভাবে প্রতিজন কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও। ওই চেয়ারম্যান সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে কাউকে ৫ কেজি, কাউকে ৩ কেজি করে চাল দেন এবং কেউ কেউ কার্ড থাকলে চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। চাল না পাওয়াই অনেকের মধ্যে ক্ষোভ ও সন্দেহের দানা বাঁধে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) রাতে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনসাধারণ ও চাল বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে রেখে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) পরিমল কুমার সরকারকে ফোনে অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অনেক চাল লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা চাল পাইনি। তারা আরো বলেন, রাতেই এই চালগুলো পাচার করা হবে।
অদ্য শনিবার (৯ জুলাই) সকালে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার থানা পুলিশসহ দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলা ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের উপস্থিত হয়ে ৫৭ বস্তা চাল জব্দ দেখিয়ে সভাকক্ষের ঘরে রেখে ঘরটি সিলগালা করেন।
এবিষয়ে ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল সঙ্গে মুঠোফোন (০১৭৮০- ৮১৫৯১৫) একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তার বন্ধ ছিল।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগে ৫৭ বস্তা চাল জব্দ দেখিয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের একটি ঘরে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।