দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। এতে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে।মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এ আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
কুশিয়ারা ব্যতীত, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতলও বৃহস্পতিবার হ্রাস পেতে পারে।
ভারতের গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। বুধবার (৬ জুলাই) নাগাদ সিলেট জে’লার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে মঙ্গলবার পানির সমতল বেড়েছে ৪২টিতে, কমেছে ৬৫ টিতে, অপরিবর্তিত আছে দুটি পয়েন্টের পানির সমতল।
বর্তমানে তিন নদীর পানি চারটি পয়েন্টের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদে ৭৯ সেন্টিমিটার ও শেওলায় ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। এতে সিলেটে এখনো বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।