বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে ও জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর স্যারের সার্বিক নির্দেশনায় চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব নুর হোসেন কর্তৃক ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ বাজার এলাকায় বাজার তদারকি অভিযান পরিচালিত করা হয়েছে।
এসময় সয়াবিন তেল, পেয়াজ ও মসলার বাজার, খাবার হোটেলে এবং একটি হাসপাতাল তদারকি করা হয়। অভিযান চলাকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় জুয়েলের গোশতের দোকানকে ১৫০০/-, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক দামে কসমেটিকস পণ্য বিক্রির দায়ে মিম কসমেটিকসকে ১০০০/- এবং এস এস সুজ কে ২০০০/-,পণ্যের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় মৌচাক কনফেকশনারিকে ২,০০০/-, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার প্রক্রিয়া ও বিক্রির দায়ে পাঠান বিরিয়ানি হাউজকে ৩,০০০/- এবং সর্বেশেষ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে সেন্টার হাসপাতালকে ৫,০০০/- জরিমানাসহ সর্বমোট ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯ মোতাবেক ১৪,৫০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
জনাব নূর হোসেন দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, অভিযান চলাকালে বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। আজ থেকে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৯/- এবং ৫ লিটার বিক্রি হবে ৯৮০/- দামে এই বিষয়ে সবাইকে জানান দেয়া হয়। পুষ্টি তেলের ডিলারকে ও তদারকি করা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম মনিটরিং করা হয়। উপস্থিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সচেতন করা হয়।
সহযোগিতায় ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব নজরুল ইসলাম এবং ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।
জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।