নাটোর জেলাবাসী বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ ।
গত ২/৩ দিনের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন বিদ্যুতের এমন আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলায় দূর্বিষহ হয়ে উঠছে নাটোর জেলা বিভিন্ন উপজেলায় বাস করা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন-জীবন।প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে বিদ্যুতের এই লোডশেডিং সমস্যা বলে জানিয়েছে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ । বিদ্যুৎ বিপর্যয় যেন নতুন করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতার বাড়ি-ঘর গুলোকে অন্ধকার করে দিয়ে নতুন সংকট যোগ করেছে। বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে”–এই প্রবাদটি যেন নাটোর জেলা বাসীর মনে স্থান করে নিয়েছে, বিদ্যুৎ গেলেই সবার মুখে মুখে একই কথা, “আমাদের এখান থেকে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে”। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাওয়ায় কেরোসিনের হারিকেন, হ্যাজাক, কুপি বাতি কিংবা মোমবাতির প্রচলন যখন নেই বললেই চলে তখন বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজি যেন তাদের জীবনকে আরও দূর্বিষহ করে দিয়েছে । ডিজিটাল বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ছাড়া জীবন যখন এক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার নাম, তখন বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এ পরে জেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের নিকট জনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহৃত একমাত্র মোবাইল ফোনটিতে চার্জ দিতে না পারায় আরেকটি নতুন সংকটে পড়েছে।
জানান, কারেন্ট গেলে তো আসে না, দীর্ঘ সময় না থাকলে অন্ধকারে বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যা হয়, মোবাইলে চার্জ না দিতেও সমস্যা হচ্ছে, ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপদে আছি, ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব জায়গায় এর প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে ওয়েল্ডিং এর কাজ করার লোক গুলো খুব বিপদে আছে। কারেন্ট না থাকলে তো ব্যবসা-বাণিজ্যে খুব সমস্যা হচ্ছে, একবার গেলে দুই ঘন্টা থাকেনা, আবার আসে অল্প সময়ের জন্য আবার চলে যায়।এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সোমবার ০৩ জুলাই পল্লী বিদ্যুৎ এর জেনারেল ম্যানেজার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গ্যাস স্বল্পতার কারণে জেনারেশনের সমস্যা হচ্ছে, আমাদের ৮৫ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও ২ গ্রীড মিলে ২৮ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ৩২ মেগাওয়াট পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে জেনারেশনের কমবেশির কারণে এ পরিমাণটা ভেরি করছে, এ কারণে সমস্যা হয়