লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের মাদকসেবী আলতাফ এর আতঙ্কে ছিন্নমূল গ্রামবাসি। সম্প্রতি মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আটক হলেও রাতে থানা থেকে ছাড়া পান তিনি। এতে তার দাপট আরও বেড়ে যায়। স্থানীয়রা তার মাদক সেবন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আলতাফ ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা এবং বোনকে দিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি সহ এক নিরিহ পরিবারকে বাড়ি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে এলাকা ছাড়া করছে বলে অভিযোগ উঠেছে মাদকসেবী আলতাফের বিরুদ্ধে।
আলতাফের অত্যাচার ও র্নিযাতনে ভয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার। ইতি মধ্যে এই অত্যাচার নির্যতনে শিকার হয়ে আরও কয়েকটি পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকিও দিচ্ছে তিনি।
আলতাফ পেশায় নিজেকে জেলে পরিচয় দিলেও আসলে সে একজন মাদক ব্যাবসায়ী এবং সবার অগচরে কয়েক বছর যাবত মাদকের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী। এরই সূত্রধরে পুলিশ গত শনিবার (২৫ জুন) রাতে তার বাড়িতে অভিযান করে ১০টি ইয়াবা উদ্ধার করে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আলতাফ হোসেন লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার ৯নং চরগাজী ইউনিয়নের জসিমের ছেলে। সোমবার (২৭ জুন) সকালে গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে আলতাফসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তারা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন । এভাবে চলতে থাকলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে মনের করেন সচেতন মহল । তারা বলেন আলতাফের বিরুদ্ধে কিছু বললে তার মাদক ব্যবসার জন্য প্রতিবাদ করলে সে শুধু মিথ্যা মামলা নয় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন , আলতাফকে তার বাড়ি থেকে ইয়াবা এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সেই রাতেই থানা থেকে আলতাফকে চেড়ে দেয় পুলিশ, আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানান এলাকাবাসী।
ভূক্তভোগী বিবি কুলসুমা জানান, আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় আলতাফ আমাকে ব্যাপক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে আমাকে মারধর করে এলাকা ছাড়া করে। আমি তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করায় আমার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজের বসতবাড়ী ত্যাগ করে প্রাণের ভয়ে স্বাসী সন্তান নিয়ে অন্যত্রে গিয়ে আশ্রিতা হিসেবে অন্যের জায়গায় এখন বসবাস করছি। ভুক্তভোগী অনেকে বলেন, আমি আলতাফ এর পাশের ঘরে থাকি তার মাদক সেবনের উৎকট গন্ধে থাকতে পারিনা। আমি নিষেধ করলে সে আমাকে মারধর করে আমকে ধর্ষন করবে এবং আমকে বাড়ি ঘর ছাড়া বলে হুমকি দেয় । অপর এক নারী অভিযোগ করেন আলতাফ তাকে চাবুক দিয়ে মারে এতে আমার পিঠ ও কোমর কেটে যায়। পরে আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ চাবুক উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলেও অপরাধী আলতাফের বিচার করেনা নাই পুলিশ । স্থানীয় আওয়ামীগ নেতা জালাল আহম্মদ ও হেলালসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আলতাফ এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে, নিজেই সেবন করে। মাদকের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এলাকা ছাড়া করে। তার অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। ইতোমধ্যে পুলিশ ইয়াবা সহ তাকে আটক করে কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির জন্য তাকে থানা থেকে ছেড়েদে,
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিদার উদ্দিন বলেন, আলতাফকে মাদকসহ পুলিশ আটক করেছে শুনেছি পরে আবার ছেড়েও দিয়েছে। তার মাদক ব্যবসা এবং সেবনের বহু অভিযোগ আসে তবে আমি নিরুপায়। অভিযুক্ত আলতাফ নিজেক নির্দোষ দাবি করে বলে, আমি এই এলাকার মিয়াও না ভূঁইয়াও না, পুলিশ আমার বাড়ি তল্লাসি করতে আসে আমার ঘরে কিছুই পায়নি ঘরের বাহিরের কোনে জর্দ্দার কোটোয় ইয়াবা পায়। পরে আমাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। আমি যাওয়ার সময় আমার স্ত্রীকে ওসি, এসপি সহ উপরের নাম্বার দিয়ে যাই। আমার স্ত্রী উনাদের সাথে কথা বলে। আমি নিরপরাধ প্রমাাণ হওয়াতে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আমাদের কাছে এমন অভিযোগ আসেনি কোন অভিযোগ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব। কেউ আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকরলে, সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করলে, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যা করনিয় পুলিশ করবে।