বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির পৌর শাখার ৬ নং ওয়ার্ডের বর্ধিত ও কর্মীসভা 
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

সেদিন তুমি ছিলে’ রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-দৈনিক বাংলার অধিকার

রাজলক্ষ্মী মৌসুমী / ৩০৩ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২, ৬:২০ অপরাহ্ণ

সেদিন তুমি ছিলে’


বাবা সেই সকাল কোথায় হারিয়ে গেলো?
যেখানে তুমি ছিলে?
তুমি অকালে ঝরে গেলে। সুখ দিতে পারিনি কিছুই,
,দিয়েছি শুধু দুঃখ।
আর কী কখনও এমন সকাল হবে? বলো না বাবা?
সেদিন তুমি ছিলে, ছিলো আনন্দ, ছিলো সুখ, ছিলো বৈভব।
কাক ডাকার আগেই তুমি ঘুম ভাঙ্গাতে।
মনে পড়ে খুব, তুমি বলতে, ওঠো ওঠো সবার আগে উঠতে হবে।
সুজ্যিমামা জাগার আগে ই আমাকে জাগিয়ে দিতে কিন্তু বাবা তুমিও নেই আমার সেই রোদেলা আনন্দের সকালও নেই।
কত খেলার ছলে বনানী বীথিকার বিশুদ্ধ হাওয়ায় কোমলপ্রাণকে সতেজ করে রাখতে।
নিমের ডালে দাঁত মাজাতে।
বাবা! তুমি কেমন বেমালুম ভুলে গেলে সেই সকালের
রুটিনমাফিক সময়টির কথা।
বাঁশ বাগানের মাথার উপরে তুমি চুপটি করে আমায় দেখে মিটি মিটি হাসো।
চাঁদের পাশেই তুমি জ্বলজ্বল করো প্রতি সন্ধ্যায়। কিন্তু তোমায় ইচ্ছে করলেও ছুঁতে পারিনা।
বাবা! মনে পড়ে তোমার? মাকে কত বকুনী দিয়েছো যদি এতটুকু কমতি হয়েছে আমার প্রতি ভালোবাসার?
মা যে আমার সর্বংসহা, কখনও এতটুকু মন খারাপ করেননি।
সকালে মুখ ধোয়ার পর মায়ের আঁচলে মুখ মুছেছি।
উফ কী শান্তি মায়ের শরীরের মিষ্টি গন্ধ আমার মনটাকে চাঙ্গা করে তুলতো।
তোমার প্রতিদিনের ডিউটি ছিলো আমাকে খাইয়ে স্কুলে পৌঁছে দেয়া।
সেই প্রথম যেদিন স্কুলে যাই তোমার কতনা উপদেশ ।
বাড়ীর কাছেই স্কুল তাই আমি আর তুমি হেঁটে হেঁটে স্কুলে গেছি।
বাবা আজো ভুলিনি তোমার ডান হাতের স্পর্শের কথা।
তুমি শক্ত করে ধরে রাখতে আমায়।
এখনও অনুভব করি বাবা !
জানো বাবা ভাবলে চোখে জল চলে আসে।
মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। কিন্তু
না মেঘে মেঘে অনেক সময় হয়ে গেছে। আর আসবে না কখনও এই রঙ্গিন সকাল।
সেই তো এখনও ভোর হয়, রোদ উঠে, কিন্তু তোমার আর
মায়ের স্পর্শ , মধুর সুরে শাসন করা এ তো আর কখনও খুঁজেও পাবো না।
আমি ব্যথা পেলে মনে হতো তুমিই ব্যথা পেতে।
ধীরে ধীরে বড় হলাম, তোমার সাথে কত কথা কাটাকাটি।
তুমি কখনও কটু কথা বলোনি করেছি কত খুনসুটি।।
আদর, ভালোবাসায়, দিয়েছো উপদেশ।।
তোমার আদর্শেই পথ চলি বাবা।
দুঃখ দিতে জানিনা এখনও।
যতটুকু পারি তোমার মতো নিঃস্বার্থভাবে স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে যাই।
আমার পাথেয় তোমার আর মায়ের স্নেহ-আশীর্বাদ।
এটুকুই দিও বাবা যতদিন বেঁচে থাকি।।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!