মিরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জয়পুর পূর্ব জোয়ারের ৩০ পরিবারের প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ পানিবন্দি একমাস যাবত। আবদুল জব্বার সড়ক পানির নিচে। এইসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে। হাবিলদারবাসা অংকুরের নেছা ওবায়দুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও জয়পুর পূর্ব জোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্র-ছাত্রী এ রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয় আসা-যাওয়া করে।
গত একমাস যাবত এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ি, বসির আহমদ এর বাড়ি, আনা ড্রাইবার এর বাড়ি সহ আরো অনেক বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় এমন অবস্থা বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল ও জাহেদুল ইসলাম জানান, গত একমাস যাবত আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। পানি নামার জায়গা ভরাট করে ফেলায় পানিবন্দি হয়ে আছি আমরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যেন দেখেও দেখছে না। তাদের কাছে বারবার যাওয়ার পরেও স্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছিল না। আমি কয়েকবার গিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করি। কিন্তু ডোমখালী বিষুমিয়া সড়কের সংস্কার কাজ চলায় পানি আর নামার জায়গা নাই। সড়কে কোন কালভার্ট স্থাপন না করায় এ সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। বিগত সময়ে দিদার ও অদু কোম্পানিদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এ বছর তারা তাদের জায়গা ভরাট করে ফেলে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে এখানকার জনগণ।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আজাদ উদ্দিন বলেন, সড়কের দক্ষিণ পাশের জায়গার মালিকরা নালা বন্ধ করে দেওয়ায় পানি নামতে পারছে না। ইতোমধ্যে আমি এবং ইউপি সদস্য সহ ঐ স্থান পরিদর্শন করে এসেছি। আমাদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাহিরে থাকায় দায়িত্বভার পেয়েছি। উনি আসলে আমরা একটি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবো বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী পানি নিষ্কাশনের জায়গা ভরাট করার কোন সুযোগ নেই। এরকম কোন লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।