দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌরসভার উদ্যোগে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় বিরামপুর পৌরসভা কার্যালয়ের কনফারেন্স পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলীর সভাপতিত্বে
বিরামপুর পৌরসভায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মেজবা, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেজবাউ হোসেন, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, প্যানেল মেয়র আব্দুল আজাদ মন্ডল বকুল, এসআই এরশাদ মিয়া, পৌর কাউন্সিলর মোজ্জামেল হক, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
এসময় পৌর পরিষদের কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির সকল সদস্যবৃন্দসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ঘোড়াঘাট রেলগুমটি, সাব-রেজিষ্টার অফিস, বেলডাঙ্গা মোড়, নবাবগঞ্জ রোড, এছাড়াও বিরামপুর পৌর শহরের অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এই সিসি ক্যামরা স্থাপনের সিদ্ধান্তগৃহ হয়। সেই সঙ্গে প্রাথমিক অবস্থায় ২১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
এদিকে বিরামপুর পৌর শহরকে পুরো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন পৌরবাসী। এটি একটি যুগ উপযোগী যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্ল্যেখ করে বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান বলেন, পৌর শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন হলে যেকোন অপরাধ সহজেই সনাক্ত করা যাবে। ফলে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে। তাই এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই।
এবিষয়ে বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিরামপুর পৌর শহরকে সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রায় ২১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে আরো বাড়ানো হবে। আগামী পবিত্র ঈদুল আযহার আগে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে পৌর শহরের ইভটিজিং, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরায় যদি কোন কিছু ধরা পড়ে। তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন হলে শহরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের পক্ষে অনেক সহজ হবে বলেও মনে করেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী ৷