এক নারীকে এক যুবক লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করছেন। আর ওই নারী চিৎকার করছেন। পাশে আরও কয়েকজন লাঠি নিয়ে আছেন। এর মধ্যে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন হয়ে পড়ার পরেও এক যুবক এসে ওই নারীকে লাথি মারছেন। এমন বর্বরতার ভিডিও আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই নারীর নাম আকলিমা বেগম (২০)। তাঁর স্বামীর নাম মো. কালু হাওলাদার। বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমিয়াজ গ্রামে।
লাঠির মারে অচেতন হয়ে পড়ার পরেও এক যুবক এসে ওই নারীকে লাথি মারছেন। এমন বর্বরতার ভিডিও আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চন্দ্রদ্বীপ ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। ওই সংঘর্ষের সময় আকলিমা তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁর ওপর বর্বর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। যার কিছু অংশ ভিডিও করেন স্থানীয় এক যুবক। ২৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিও আজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
আকলিমা ও তাঁর স্বামী কালুকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুজনকেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আকলিমার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁর ডান পা ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ডান পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর স্বামী কালুরও হাড় ভেঙে জখম রয়েছে।
ভিডিওটি দেখলাম। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারব।
আল মামুন, বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত)
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই আকলিমার শ্বশুর আবদুস ছালাম হাওলাদার বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ২০ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, ‘ভিডিওটি দেখলাম। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’