আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গৌরীপুর উপজেলায় কুরবানীর জন্য ৮৪৬২ টিরও বেশি পশু প্রস্তত রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩৫২টি গরু ও ৪১১০টি ছাগল ও ভেড়া । যার ফলে উপজেলায় কুরবানীর পশুর যে চাহিদা রয়েছে তা এই এলাকার খামারীদের পালিত পশু থেকে সংস্থান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং চাহিদার অতিরিক্ত গরু,ছাগল ও ভেড়া ঢাকা-সহ দেশের অন্যান্য এলাকায় বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন হাটে তুলবেন বলে জানিয়েছেন খামারীরা। কিন্তু এখন খামারীদের মধ্যে চাপা আশংকা বিরাজ করছে। কারন, লাম্পি স্কিন নামে নতুন একধরনের ভাইরাস সারাদেশের ন্যায় গোটা উপজেলার অনেক পশুর দেহে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের নিরাময় সময় সাপেক্ষ হওয়ায় হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন খামারীরা। এর ফলে খামারীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি ঈদের হাটের সময় সন্নিকটে হওয়ায় আতংকে সময় কাটছে খামারীদের। অন্যদিকে গো খাদ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ খামারীগণ তাদের বিনিয়োগকৃত মূলধন ফেরত পাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন। গৌরীপুরের কোরবানির পশু ও লাম্পিস্কিন রোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ নাজিমুল ইসলাম, গৌরীপুর, ময়মনসিংহের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আযহায় যে পরিমান কুরবানীর পশুর প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি সংখ্যক পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট উপজেলা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার চাহিদা মিটাতে সক্ষম হবে। উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি টিম লাম্পিস্কিন রোগ নিয়ন্ত্রের জন্য ব্যাপকহারে টিকা প্রদানসহ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে সকল খামারী যাতে সুস্থ সবল গরু ছাগল কুরবানীর পশুর হাটে তুলতে পারেন সেইলক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ। তিনি আশা করেন সকল খামারী তাদের পালিত পশুর উপযুক্ত মূল্য পাবেন।