টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা। প্রার্থীদের গণসংযোগ থেকে পোস্টারিং কিংবা মাইকিং সব ক্ষেত্রেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্টরা যেন এক রকম নির্বিকার।
গণসংযোগের শেষ সময় চলে আসলেও ইসির তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তাদের এমন ভূমিকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বাস্তবে তাদের তেমন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তবে প্রার্থীদের দাবি তারা আচরণবিধি মেনেই গণসংযোগ চালাচ্ছেন এবং অনেক প্রার্থীর আচরণবিধি সমন্ধে ধারণাই নেই।
এভাবে চলতে থাকলে সামনে নির্বাচনী পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি- এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
আচরণবিধির ৭-এর ‘খ’ ধারায় রয়েছে, কোনো প্রার্থী পথসভা ও ঘরোয়া সভা করতে চাইলে প্রস্তাবিত সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগে তাহার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। যাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে চলছে তার উল্টো। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীগন ও মেম্বার প্রার্থীরা গণসংযোগকালে একাধিক পথসভা করছেন। কিন্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীগন গণসংযোগকালে রাস্তা বন্ধ করে পথসভা করছেন। পথসভা করায় আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। কিন্তু এসব দেখতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তাকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।