চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পরিসংখ্যান অফিস কর্তৃক জনশুমারি ও গৃহশুমারির লোক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগকর্তারা সাধারণ প্রার্থীদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের তালিকা অনুযায়ী অধিকাংশ লোক নিয়োগ দিয়েছেন। যার মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকও রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত এই নিয়োগের ফলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।গত, ৮ জুন থেকে ১২ জনু পযর্ন্ত ২ টি পদে ৯৯৭ জন নিয়োগ প্রাপ্ত ৪ দিনের ট্রেনিং জন্য ডাকা হলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের দেখা মিলে, তাদের মধ্যে কয়েকজন জানান আমাদের অনেক প্রার্থীকে বাদ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবী, রাজনৈতিক দলের সুপারিশ তাদের নিয়োগ দিয়েছে আমাদের অগোচরে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লেখা ছিল যারা অন্য পেশায় আছে তাদের আবেদন বাতিল করা হবে। বর্তমানে ট্রেনিং আমরা দেখতাম পারলাম অনিয়ম করে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। সব কিছু উল্টা।জানা যায়, সরকারি ডাটাবেজ তৈরির জন্য দেশের বিভিন্ন উপজেলায় জনশুমারি ও গৃহশুমারির তথ্য সংগ্রহের জন্য গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ৯ জানুয়ারি থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা জুড়ে ২টি পদে আবেদন করে প্রায় ২সহস্রাধিক প্রার্থী। ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয় নিয়োগ পরীক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ব অভিজ্ঞাসহ বেকার শিক্ষিত নারী-পুরুষদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা থাকলেও এখানে হয়েছে এর ব্যতিক্রম। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই নিয়োগকর্তারা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে পাওয়া নামের তালিকা দেখে নিয়োগ দিয়ে দেয়। এতে করে বাদ পড়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক সাধারণ প্রার্থী।রফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগকৃত অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোক, সরকারি চাকরিজীবী। এ ছাড়া যারা নিয়োগ পরীক্ষাও দেয়নি তাদের নামসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসে চাকরিরত অনেকের নামও নিয়োগপ্রাপ্ত তালিকায় রয়েছে।বর্তমানে আমরা ট্রেনিং করা অবস্হায় দেখতে পেয়েছি।সাইফুল ইসলাম নামে পাইকপাড়া ইউনিয়নের এক যুবক বলেন আমার ইউনিয়নে ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র শিক্ষক ৩ জন।তাদের মধ্যে থেকে যদি প্রধান শিক্ষককে জনশুমারি কাজে রাখা হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান কিভাবে চলবে তা আমাদের জানা নেই,এই সকল কাজের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার ক্ষতি হচ্ছে।শুধু এখানে নয় পুরো উপজেলায় একেই চিত্র।উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান। আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন সারাদেশে জনশুমারি ও গৃহগননা প্রকল্পের কাজ শুরু ৮ জুন থেকে ১২ জুন নিয়োগ প্রাপ্তদের ট্রেনিং করানো শেষ,আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি,আমি আসার পুর্বে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে,পুর্বের কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে, এই মুহুর্তে আমার কিছু করার নেই,যারা নিয়োগ পেয়েছে তাদের দিয়ে প্রকল্পের কাজ করতে হবে।