অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মুখ খোলায় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সোনাগাজীর বক্তারমুন্সীতে মির্জাপুর গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিক (খোকামিয়া খোন্দকার) নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে মেরে আহত করলো একই বাড়ীর শামিম খোন্দকার নামে অপর এক ব্যক্তি।
আহত খোকামিয়া খোন্দকার জানান- একই বাড়ীর লোক হিসাবে মানুষ কানাঘুষা করে আমাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি নাকি নবাবপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে ধরা পড়েছেন? উত্তরে বলি আমি নই সেইটা শামিম খোনার। এইটা বলায় সে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করে বক্তারমুন্সী মসজিদ সংলগ্ন দিঘীর দক্ষিণ পাড়ে ওৎপেতে বসে থাকে শামিম খোন্দকার।
গত ১/৬/২০২২ইং (বুধবার) ৩টায় আমি বাড়ী থেকে দুপুরের খানা খাইয়া দিঘীর দক্ষিণ পাড়ে আসামাত্র শামিম বলে উঠে ভাই সাহেব আমি আপনাকে তালাশ করিতেছি, আমি বলি কেন ভাই বল, বলতে না বলতে আচমকা গালের বাম পার্শ্বে ঘুসি মারে, সাথে সাথে আমার চোখ অন্ধকার হয়ে যায়, চোখের চশমা ও হাতে থাকা কাপড়ের ব্যাগ কোথায় পড়ে যায়। এই সময় দাতা মোয়া খাইয়া জিব্বা সামান্য কেটে রক্ত যায়। শামিম এলোপাতাড়ি কয়েকটি কিল ঘুষি মারিয়া দ্রুত বাড়ীর দিকে চলে যায়, ঐ সময় শামিম বলে তোকে মারিয়া লাশ ঘুম করে ফেলব যেন কেহ না পায়, তারপর; আমি হতম্ভব হয়ে সেই জায়গা বসে পড়ি ।
কিছুক্ষণ পর একই বাড়ীর জসিম ও তার ছেলে সেই জায়গায় পৌঁছে জিজ্ঞাসা করে ভাই আপনার এই অবস্থা কেন ? উত্তরে আমি বলি শামিম আমাকে মারিয়াছে, তখন জসিম জঙ্গল থেকে চশমা খুঁজে দেয়, আফসোস করে বাড়িতে যাই ঘটনা সবাইকে বলে।
বৃদ্ধ আবু বক্কর ছিদ্দিক (খোকামিয়া) বলেন আমার ছেলের বয়সী শামিম আমাকে মেরে আহত করেছে । আমি গত ৫/৬/২০২২ ইং মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল’র পল্লী আদালতে মামলা করিয়াছি। চরিত্রহীন ও বদ স্বভাবের এই শামিম খোনারের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত শামীম খোন্দকার সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের (৬নং ওয়ার্ড) মির্জাপুর গ্রামের করিমুল হকের পূত্র ও বক্তারমুন্সী পাতা বাজারে তাহার তাবিজ তুমারের দোকান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তাবিজ কবজ দিয়ে চিকিৎসার নামে মানুষকে হয়রানি সহ যৌন হয়রানির নানান অভিযোগ রয়েছে। গত ২৪শে জুন ২০১৪ ইং “নবাবপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়ে ভণ্ড খোনার আটক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২৪শে জুলাই ২০১৪ ইং পাক্ষিক উত্তরণ নামক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা যায়, শামিম খোনার সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে রাত ২টায় দেখা করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বাদল, জামাল মেম্বার ও বাজার কমিটির সভাপতি মীর নাছির ২লাখ টাকা মুচলেকার বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।