লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে ২নং চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৬ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আমলি আদালতের বিচারক নুসরাত জামান এই আদেশ জারি করেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ রামগতি থানায় পাঠানো হয়নি বলে জানা গেছে। জসিম ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। বাদীর আইনজীবী মো. সোলায়মান মোল্লা জানান, ছাগল চুরির মামলা আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছেন। শিগগিরই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশের কপি রামগতি থানায় পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আমলি আদালতে জুলফিকার আলী চৌধুরী এই মামলা দায়ের করেন। এতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে ইফতেখার হোসাইন শাওনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাছ এবং মাছের খাদ্য লুটেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন ফরহাদ হোসেন সুমন, নুরুল আমিন, খুরশিদ আলম। তারা চর বাদাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরসীতা গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা। এই জাহার সূত্র জানায়, রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বড় বাড়ির সামনে তার একটি প্রজেক্ট রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে সেখানে ঢুকে দুটি ছাগল জবাই ও চুরি করে নেয় অভিযুক্তরা। এই ছাড়া ওই প্রজেক্টে থাকা মাছের খাদ্য এবং একটি পাম্প চুরি করা হয়। ওইদিন সকালে প্রজেক্টে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে ছাগল জবাই করায় রক্তের দাগ দেখতে পান।
জুলফিকার আলী চৌধুরী জানান, জসিমের সঙ্গে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই জন্যই তার ছেলের জন্মনিবন্ধনে সই করছে না চেয়ারম্যান জসিম। লোক দিয়ে তার প্রজেক্টের পুকুর থেকে ২০বিশ হাজার টাকার মাছ লুট করেছে। ছাগল চুরি করে খেয়েছে। তার শ্বশুরের ১৭টি মহিষ জিম্মায় রাখার নামে বিক্রি করে ফেলেছে চেয়ারম্যান।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাজানো ঘটনায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চুরির ঘটনায় তিনি কিংবা তার কোনো লোক সম্পৃক্ত নয়।