চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে ৩ জন করে এমএইচভি( স্বেচ্ছাসেবক পদে) সারাদেশের ন্যায় প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে বুষ্টার ডোজ নিয়ে সে সকল স্বেচ্ছাসেবক কাজ না করার কারণে ভিবিন্ন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উপাধিক ও সাহাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে স্ক্যান ছাড়াই কোভিড ভ্যাকসিন বুষ্টার ডোজ সপ্তাহ উদযাপন চলছে। গত ০৪ জুন রোববার দেশব্যাপী কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ সপ্তাহ উদযাপন হয়।টিকা কার্ড স্ক্যান না করে টিকা গ্রহণকারীদের দিয়ে দেওয়া হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাহাপুর ও উপাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকার কার্ড স্ক্যানিং ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে টিকা। দায়িত্বরত কর্মকর্তা জান্নাত আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান স্ক্যানিং করা হয়েছে,ওনি এই মাত্র বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন সুত্র জানা যায় প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ দেশ ব্যাপী টিকা দেওয়া হয় সে সময় সাহাপুর কেন্দ্রে আনোয়ার হোসেন রাজু,সাফায়েত,মাসুম তিনজনই এমএইচভি পদে দায়িত্বে ছিল, তারা নির্দিষ্ট সম্মানি না পেয়ে গত ৫ জুন কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করতে যায়নি।আনোয়ার হোসেন রাজু জানান গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী দুই মাসে ১৬ দিন কাজ করেছি, আমার সাথে আরো ২ জন অল্প কয়েকদিন কাজ করেছে।উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স থেকে আমাদের তিন জনের নামে ১৭ হাজার টাকা উঠিয়ে শুধু মাত্র আমাকে ৩ হাজার টাকা দেয়,মাসুমকে ১ হাজার দেওয়ার কারণে মাসুম টাকা নেয়নি, বাকি টাকা কি করলো আমরা জানি না।সরজমিনে ও ভিবিন্ন সুত্রমতে উপাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে সম্মানি প্রদানে একেই চিত্র দেখা যায়।আছমা আক্তার নামে আরেকজন এমএইচভি কে ৮ দিনে ১৬০০ টাকা দেওয়া হয়।সাহাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জান্নাত আক্তার জানান আমি রাজুকে ৩ হাজার টাকা দিছি,বাকি টাকা বিভিন্নখাতে খরচ হয়ে গেছে। তাদের প্রাপ্য তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোন উত্তর দিতে পারেননি।এমনকি তিনি বলেন শুধু বাজেট আপনারা জানেন অফিস থেকে আমাদের কত টাকা দিছে তা খোঁজ নেন।এমএইচভি (স্বেচ্ছাসেবক) দের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মামুন আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, কোন স্বেচ্ছাসেবক আমাকে কোন অভিযোগ করেনি,তাদের টাকা কম হলে আমাকে জানাতো আমরা সমাধান করে দিতাম।তাদের দৈনিক কত টাকা দেওয়া হয়েছে,১৬ দিনে একজন স্বেচ্ছাসেবক কতটাকা পাবে, এমন কি একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩ জন স্বেচ্ছাসেবক কে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে কত টাকা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন অফিসের নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে, এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবো না।যে সকল স্বেচ্ছাসেবক টাকা পায়নি বা বিদেশ চলে গেছে তাদের ভাতার টাকার ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে তিনি রাজি নন।