কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জায়গার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে জ্ঞানহারা অবস্থায় ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন খুদেজা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা। আহত খুদেজা বেগম উপজেলার বড় ছয়সূতী গ্রামের মৃত মুতিউর রহমানের স্ত্রী।
আহত খুদেজা বেগমের কন্যা মোছা. নাজমা (৩৮) ও পুত্র শহীদুল্লাহ (২৬) অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ একই বাড়ির মুছা মিয়া (৬০) দের সাথে জায়গার সীমানা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ৩ জুন শুক্রবার দুপুরের দিকে মুছা মিয়া ও তার ছেলে জাকির হোসেন (৩৫), কাজল (৩০), ইসমাইল (২৫) ও মোরছালিন (২২) তাদের বাড়ির উঠানে আসিয়া তাদের সাথে সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুছা মিয়া গংরা বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্রাদী নিয়ে এসে খুদেজা বেগমের উপর হামলা করে তাকে কুপিয়ে ও আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। প্রতিপক্ষের নেক্কারজনক এ হামলায় ওই বৃদ্ধা মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে ওই দিনই কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে তিনি ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি বলে জানান স্বজনরা।
এ ঘটনায় ৪জুন শনিবার বিকালে আহত খুদেজা বেগমের পুত্র শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এব্যাপারে প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।