কুমিল্লা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩১ মে (মঙ্গলবার) সকালে লাকসাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সচেতনতামূলক এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন লাকসাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিয়া বিনতে আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন তার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে,
তাই আমরা শিশুদের জন্মের সাথে সাথে তার জন্ম নিবন্ধন করা উচিত।
উত্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিনিয়র কর্মকর্তা নুরুল হক।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা সহকারি তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
‘শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়) ১ম সংশোধনী’ শীর্ষক প্রকল্পের জিওবি খাতের অধীনে স্যানিটেশন, পরিবেশ, জন্ম নিবন্ধন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা, নিরাপদ মাতৃত্ব, যৌতুক, বাল্য বিবাহ ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কন্যা সন্তানের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
কারণ ক্লাশে ফাস্ট স্টুডেন্ট যদি একজন কন্যা হয় কিংবা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি নারী হয় তাহলে কেউ তাকে ইভটিজিং বা সহিংসতার সাহস পায়না। তাই কন্যা শিশুকে শিক্ষিত, মার্জিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজিয়া বিনতে আলম বলেন,
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
এবং নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে গর্ভকালীন কমপক্ষে চারবার এবং প্রসব পরবর্তী আরো দুই থেকে তিনবার চিকিৎসকের পরামর্শে চলা জরুরী। এতে মা ও শিশু দু’জনই সুস্থ ও নিরাপদ থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল,
লাকসাম প্রেসক্লাবের সভাপতি তবারক উল্ল্যাহ কায়েস,
এই কর্মশালায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক, সাংবাদিকগন, ধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মী অংশগ্রহণ করেন।