সারাদেশে ৮৮২টি বেসরকারি হাসপাতাল,ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (২৯ মে) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৮৮২টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগেই ১৬৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকার বাইরে বন্ধ করা হয়েছে ৭১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ২২৯টি, রাজশাহীতে ৭৮টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি, সিলেটে ৩৫টি ও খুলনায় ২০৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, আমরা ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। এর মধ্যে গত দুদিনে এখন পর্যন্ত (বিকেল) ৫৩৮টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছি। অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার যেন গড়ে না ওঠে সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের কাছে এখনো কয়েকটি জেলার তথ্য আসেনি, ফলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে সিভিল সার্জনদের নেতৃত্বে এবং রাজধানীতে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে তিনটি টিম অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কাজ করছে। এছাড়া অ’ভিযানে ঢাকা বিভাগের ১৩টি জে’লায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা জ’রিমানা করা হয়েছে।