ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে দুদিনব্যাপী নদী সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আবদুল মোমেন তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরেছেন। নদী সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি গত ২৭ মে ভা’রত সফরে গিয়েছিলেন।
রোববার (২৯ মে) বিকেল ৫টায় তামাবিল সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এটিএম রকিবুল হক, সহকারী পরিচালক মো. ইম’দাদুল ইসলাম ও সূবর্ণা শামীম।
তামাবিল স্থলবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান।
এসময় তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো.জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ছেদু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত সীমান্তে মন্ত্রীকে বিদায় জানান ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এইচ-ই মোহাম্মদ ইমরান ও গুয়াহাটিতে নিযুক্ত উপ-হাই কমিশনার ড.শাহ মো.তানভীর মনছুর।
বাংলাদেশে ঢুকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ঐতিহাসিক বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ইমিগ্রেশন দপ্তরের স্থায়ী ভবন ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সংস্কারের আশ্বাস দেন। মন্ত্রী তামাবিল স্থল বন্দরের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম, সিলেটের অ’তিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শাহরিয়ার বিন সালেহ, তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া, গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল, জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ, খাদিম নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসর উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি,সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।