নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পপুলার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতি স্থাপন করে সদস্যদের আমানত ও শেয়ার মূলধন আত্মসাতের দায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে পৃথক পৃথক ধারায় ৪৮ সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৮৪টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত সমিতির চেয়ারম্যান সোনাইমুড়ী উপজেলার মাহুতলা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে আবদুর রব হেলাল, সমিতির সহসভাপতি চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাজী নুরুজ্জামানের ছেল আমিন উল্যাহ,
সমিতির সেক্রেটারী সোনাইমুড়ী উপজেলার কেগনারখিল গ্রামের ইদ্রীস মিয়ার ছেলে সফিউল আলম ও তাঁর স্ত্রী সমিতির সদস্য সুলতানা পারভিন,সমিতির সদস্য চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আমিন উল্যার স্ত্রী উম্মে কুলসুম।
রোববার ( ২৯ মে ) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ ।। এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, আসামি আব্দুর রব হেলাল গং পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে পপুলার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামীয় সমিতি স্থাপন করে সদস্যদের নিকট থেকে আমানত এবং শেয়ার মূলধন বাবদ এক কোটি ৫৮ লাখ ৪৬৭ টাকা আত্মসাত পূর্বক স্থানান্তর-হস্তান্তর ও রূপান্তর করে। সমিতির সদস্যদের অর্থ আত্মসাৎের ঘটনায় ২০১৮ সালে দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ে বর্তমান সহকারী পরিচালক সুবেল আহাম্মেদ বাদী হয়ে ৫জনকে আসামি করে চাটখিল থানায় একটি বিশেষ মামলা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক রায় দেওয়ার সময় মামলার প্রধান আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকী চারজন আসামি পলাতক রয়েছে।
দুদকের পিপি আরো জানায়,সকল ধারার সাজা এক সাথে চলায় মামলার প্রধান আসামি ১০ বছর সাজা খাটতে হবে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দিন থেকে ৭বছর সাজা খাটতে হবে।