নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বুধবার বিকালে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মামুন শেখ (২৪) নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের ফেরদৌস শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামি মামুন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন মামুনের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এর পর ওই মেয়েকে তার বাবা কংকন বৈরাগী নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে দেন।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে পোশাক বানানোর কথা বলে বাইরে এলে মামুন মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। মামলায় ওই মেয়েটির জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নিজেকে তিনি সাবালিকা মনে করেন। তার নাম বদলিয়ে ফেলে এবং ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম অনুসারে মামুনকে বিয়ে করেন।
আদালত এ মামলায় ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামি মামুন মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ দণ্ডাদেশ দেন আদালাত।
এরকম ঘটনা আর না ঘটে এজন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই রায় প্রধান করেন মাননীয় আদালত।