খুলনার দাকোপের ঐতিহ্যবাহী বাজুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাজুয়া ৯নং ওয়ার্ডে সার্বজনীন শশ্যান ঘাট ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টারদিকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ সরোজমিনে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
সকলের আলোচনার মধ্য দিয়ে সার্বজনীন শশ্যান ঘাটটির বিষয় শান্তি পূর্ণ নিরসন হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় খুলনার দাকোপে সহকারি কমিশনার ভূমি গালিব মাহাম্মুদ পাশা কতৃক পশ্চিম বাজুয়ার সার্বজনীন শ্মশান ঘাট ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। গত ২৪ মে মঙ্গলবার বিকালে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাজুয়া দাকোপ এসিল্যান্ড কতৃক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সার্বজনীন শ্মশান ঘাট ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের প্রতি মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । এলাকাবাসী জানান যেখানে দাকোপের আনাচে- কানাচে মানুষ খাস জায়গা দখল করে একতলা, দোতলা, তিনতলা এমনকি বিলাস বহুল বিল্ডিং তৈরি করে বসবাস সহ ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছ। নদী খাল দখল করে মানুষ বসবাস করছে সেখানে সকলে নিরব আর ভাঙ্গা হচ্ছে সরকারি বাজেটে নির্মাণরত শ্মশান ঘাট। এলাকার আপামর মানুষের প্রতিবাদের ফলে গত বুধবার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের আহবানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হিন্দু ধর্মীয় নেত্রী বৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তিপুর্ন আলোচনা করা হয়। সাথে সাথে শ্মশান ঘাটের ক্ষতিপুরন সহ পুনঃনির্মাণের আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দাকোপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ভূমি গালিব মাহাম্মুদ পাশা, দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, চেয়ারম্যান মানস কুমার রায়, চেয়ারম্যান মিহির কুমার মন্ডল, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্চয় কুমার মোড়ল,, সমাজ সেবক যুগল চন্দ্র রায়, যুবনেতা বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, ইউপি সদস্য জয়দেব রায়, সাবেক ইউপি সদস্য ঠাকুর দাশ প্রমুখ।