নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক ইতালি প্রবাসী কে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে তার সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল, ঘড়ি ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়ারর কথা বলে তার মাকে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করে একটা বিকাশ নাম্বার দেয়। ছেলেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তাদের দেওয়া ০১৮১৭-৬৩০৫৪৫ বিকাশ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা পাঠায় তার মা। টাকা পাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা এ ব্যাপারে মামলা মোকদ্দমা করলে হত্যার ভয় দেখিয়ে কালাম নামের ইতালি প্রবাসী কে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কালাম মোহাম্মদ সেলিম গত রোববার রাতে সোনাইমুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বারাহিনগর গ্রামের মোঃ নাছির মিয়ার ছেলে প্রবাসী মোঃ কালাম এর সঙ্গে সোনাইমুড়ী থানার কাঁচারি বাগ গ্রামের মোঃ রতন এর সাথে সম্পর্কের সুবাধে তারা দু’জন মিলে একটি মাইক্রোবাস ক্রয় করে।
গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো চ -১১২৮০৫। কথা থাকে যে কালাম এর টাকার প্রয়োজন হলে রতন কালাম কে তার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে।
কালাম এর টাকার প্রয়োজন হলে গত কিছু দিন ধরে টাকার জন্য চাপ দেয় রতন কে।
রতন গত (১২ মে) সকালে মাইক্রোবাস বিক্রি করে টাকা দিবে বলে কালাম কে আমিশাপাড়া থেকে বজরা দিঘীরজানে নিয়ে যায়।
পথিমধ্যে বাংলা বাজার থেকে মোঃ রাসেল (৪০) কে গাড়িতে তোলে এবং পশ্চিম শাকতলা থেকে মোঃ কবির (৪০) কে ও গাড়িতে তুলে জয়াগ ইউনিয়নের তুষী গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে কালাম কে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে শাকিব (২৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন মিলে কালাম এর সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে কালাম এর ফোন থেকেতার মায়ের নাম্বার বের করে তার মাকে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে একটি বিকাশ নাম্বার দেয়।
মা এই ফোন ছেলে কে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য মা তাদের পাঠানো বিকাশ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা পাঠায় বলেন আমার কাছে আর টাকা নাই আমার ছেলেকে ছেড়ে দেও।
সন্ত্রাসীরা কালাম কে আবার মাইক্রোবাসে তুলে চাটখিল পৌর শহরের রংধনু নামক একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে।
পরে সন্ত্রাসীরা কালাম কে এই ব্যাপারে থানা পুলিশ কে জানালে তার প্রাণনাশ সহ পরিবারের ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
ভুক্তভোগী কালাম মোহাম্মদ সেলিম জানান, তিনি সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর অসুস্থ থাকায় চিকিৎসা শেষে স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ করে রোববারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং এই বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, ডিআইজি চট্টগ্রামের কাছে সাজেস্ট ডাকে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার (তদন্ত) তদন্ত মোঃ কাজী মোহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে।