আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়ে সকলের কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) থেকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
২০২১ সালের জুনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য পদে ৫ম বারের মতো ড. শামসুল আলমের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর একই বছরের ১৮ জুলাই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
মূলত, ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। তার কর্মজীবনে তিনি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র সংশোধন ও পূর্ণ বিন্যাস, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যানসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে একুশে পদক লাভ করেছেন তিনি।
২০২১ সালের জুনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) পদে পঞ্চম বারের মতো ড. শামসুল আলমের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ওই বছরেরই ১৮ জুলাই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরের বছর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে ২০১৫ পর্যন্ত শিক্ষকতায় নিযুক্ত ছিলেন। সেখানে কর্মরত অবস্থাতেই ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসেল আপন টাইন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
এ ছাড়াও জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস স্কুলে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষকতা করেন ড. শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষকতায়ও যুক্ত ছিলেন ড. শামসুল আলম।
ড. শামসুল আলম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পূর্ণকালীন চাকরিও করেছেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশে ১৪ মাস সিনিয়র স্কেলে পূর্ণকালীন জাতীয় কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতীয় দৈনিকসমূহে উপ-সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় তিন দশকের অধিক সময় ধরে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী অসংখ্য কলাম লিখেছেন। এছাড়া গবেষণা গ্রন্থ, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতি বিষয়ক তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২টি।
শামসুল আলম পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে প্রেষণে ছুটিতে যান।
মাদর অফ হিউম্যানিটি, গনতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা এই নির্মোহ, সৎ, কর্মবীর, দেশপ্রেমী মানুষটিকে দলের যোগ্য স্থানে আনার জন্য।
নিঃসন্দেহে এই বিজ্ঞ এবং সত্যপ্রিয় সাহসী মানুষের অন্তর্ভুক্তি আওয়ামী লীগকে আরো গতিশীল করে তুলবে।