কচুয়া উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (কোয়ার্টার) ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেয় দালালরা।
তারা তাদের পছন্দমতো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম বলে দেয়। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এভাবেই তাদের ভোগান্তির কথা জানান।
উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বাসিন্দাদের জন্য একমাত্র সরকারি হাসপাতালটির বহিঃর্বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিদিনই দালালদের হয়রানির শিকার হন রোগীরা।
রোগীদের অভিযোগ, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। দক্ষ জনবলের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ সোহেল রানা সরকারি কোয়ার্টারের ভিতরে নিজস্ব চেম্বার বানিয়ে অর্থের বিনিময়ে রোগী দেখছেন প্রতিনিয়ত এবং দালাল দের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। ডাঃ সোহেল রানা বিভিন্ন ক্লিনিকে কমিশনের মাধ্যমে রোগী পাঠিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী নাজমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালরা সব সময় হাসপাতালের ভেতরে ঘোরাঘুরি করে। অনেকে আবার ডাক্তারের চেম্বারের মধ্যে ও অবস্থান করে। চিকিৎসকরা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিলেই এসব দালালরা তাদের প্রতিষ্ঠানে নেয়ার জন্য নিজেরাই ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করেন। এতে রোগী ও স্বজনদের প্রতিদিনই নাজেহাল হতে হয়।
এছাড়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগারটি ব্যবহার অনুপযোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেবার মান উন্নত হয়নি।
কোনো রোগী এলে চিকিৎসকরা রেফার্ড করে দেন তাদের পছন্দমতো ক্লিনিকে। একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান হাসপাতালের টি.এস.ও বিভিন্ন সময় কর্মচারী, কর্মকর্তা ও ডাক্তারের সাথে অশালীন আচরণ করেন।
তিনি জানান, দেশের উন্নয়নের সময় কিছু অসাধু ডাক্তার সরকারের ভাবমুক্তি ক্ষুন্ন করার জন্য জরিত আছে কিনা, এবং চিকিৎসা খাতেকে অকার্যকর করার চেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে কিনা,সরকারি নিয়মনীতি এরা মানছেনা। সরকারের উচিৎ এগুলো তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ওয়ার্ডবয়রা প্রতিনিয়ত রোগীদের সাথে অশোভন আচরণ করে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান,ডাক্তার ও দালালদের যোগসাজশে কমিশনের
মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রমরমা ব্যবসায়ের সুযোগ পাচ্ছে।টি.এস.ও জানান দালালদের বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতনদের জানানোর পরে ও সমাধান হয়নি। এমনকি ক্লিনিক মালিকপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে,তারপরেও সম্ভব হয় নি।
দালালদের উৎপাতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।কথিপয় অসাধু লোক তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন।