ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার না করা জন্যে বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় তিনি সরকারি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মা’ম’লার নেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করবেন। তারপর সেটা বিবেচনায় নিবেন।
শনিবার ( ২১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মামলাজট নিরসনে জিপি ও পিপিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গো’লাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মামলাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি বলেন, আদালত যদি মনে করেন এটা অ’ত্যন্ত গর্হিত অপরাধ, তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করে ফেলতে হবে, এটা সম’র্থনযোগ্য নয়।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংযোজন করে দিয়ে গিয়ে গেছেন- সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা, যেটা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু এটা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যাতে বাক-স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মা’ম’লাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় জিপি-পিপিরা মামলাজট নিরসনে আদালতে সময়মত সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, আরও বিচারক নিয়োগ, আদালত সংখ্যা বাড়ানো, সময়মত সমন জারি ও তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, দেওয়ানি কার্যবিধির কিছু ধারা সংশোধন, মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডাক্তারের আদালতে সময়মত উপস্থিতি, বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন।