মতলব দক্ষিণের নলুয়াগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দুদের শ্মশানের সম্পত্তি জোড়পুর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারি ভুমি দস্যু আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে নুলুয়া গ্রামের পৈতৃক মালিকানাধীন পোদ্দার বাড়িতে সরজমিনে গিয়ে ভুমি দস্যু মান্নান কতৃক অবৈধভাবে জোড়পুর্বক একটি দোচালা টিনের ঘড় উঠিতে রাখতে দেখাযায় শম্ভু সাহার পারিবারিক শ্মশানের জায়গা।
খোজ নিয়ে আরও জানা যায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় সাধারন মানুষদের কে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
এ ব্যাপারে সম্ভুনাথ পোদ্দার জানান আঃ মান্নান আমাদের সম্পদ জোর করে দখল করে ভোগ করে আসতেছে। আমরা সরকারি বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ দিয়ে কোন সুরাহা পাইনি। আঃ মান্নান যে জমি দখল করে রেখেছে তা আমাদের উত্তরাধিকার সম্পদ যা নলুয়া মৌজার সাবেক ১৬৪ হাল ১৮২ সাবেক দাগ নং ৪০৮/৪২৯/৪৩১ পৈত্রিক সুত্রে ৩ একর ৩৮ শতক ভুমির মধ্যে বিপি ১ একর। ২০১৫ সালে চাঁদপুর জজ কোর্ট থেকে হারাধন পোদ্দার অর্পিত সম্পত্তির রায় পান।
এ ব্যাপারে সম্পত্তির মালিক,সম্ভুনাথ পোদ্দার, পিতা-মৃত পোদ্দার, সাং-নলুয়া, পোঃ বোয়ালিয়া বাড়ী, উপজেলা মতলব দক্ষিণ জেলা-চাঁদপুর। আরও জানান,আমার ১৬৪নং নলুয়া মৌজার এস.এ ৪৪৪নং খতিয়ানে সাবেক ৪০৮ এবং ৪২৯ দাগে বি.এস ৮৮৭নং খতিয়ানে হাদে ৬৪৫, ৬৫০, ৬৫১,৬৫২,৬৫৩ লাগে মালিক থাকাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার তফসিল সম্পত্তি শত্রুর সম্পত্তি পরবর্তীতে ভিপি তালিকার গেজেটে সাবেক ৪০৮ দাগে ১০ শতাংশ, ৪২৯ দাগে ১০ শতাংশ অন্তর্ভূক্ত করে। তাফসিল ভূমি আমাদের দখলে থাকায় আমার পিতা লীজের আবেদন করিলে আমার পিতার নামে লীজ অনুমোদন হয়। যথারীতি লীজ মানি পরিশোধ করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় সরকার বাহাদুর অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যপূর্ণ ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০১ (সংশোধিত আইন ২০১১ ঘোষনা করায় তৎ অনুসারে তফসিল সম্পত্তি আমার পিতা বিগত১৮/১১/২০১২ইং তারিখ বিজ্ঞ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইট্যুনালে মামলা নং-৫১০/২০১২ দায়ের করিলে বিগত ২২/০২/২০১৫ইং তারিখে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে রায় প্রদান করেন এবং ১৯/০১/২০১৫ তারিখে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল ডিক্রি প্রদান করে। আঃ মান্নান, পিতা-সেরাজুল হক খান, সাং- নলুয়া, পোঃ বোয়ালিয়া বাড়ী, উপজেলা-মতলব দক্ষিণ, জেলা-চাঁদপুর। দীর্ঘ বৎসর যাবত তফসিল ভূমি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় আমি সহ আমার আত্মীয় স্বজনদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। আঃ মান্নান জোরে জব্বরে আমাদের মালিকানা সম্পত্তিসহ অবমুক্তির মামলার রায়প্রাপ্ত সম্পত্তিতে জবর দখল করার অপচেষ্টা করিয়া তফসিল ভূমির কতেক অংশে পারিবারিক শম্মানে জোর পূর্বক একটি দোচালা টিনের ঘর উত্তোলন করিলে আমি বাধা প্রদান করিলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়াছে। আঃ মান্নানের অত্যাচারের বিষয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি শুধাংশু সাহা, ২। রতন সাহা, ৩ সিরু জুল ইসলাম, ৪। মুক্তিযোদ্ধা সফিউল আলম বুলাল সহ অনেকে। অবগত আছে। বিবাদী আঃ মান্নান তফসিল ভূমির তৃতীয় পক্ষ বটে। আঃ মান্নান সম্পূর্ণরূপে ভুমি সাতা করিয়া আসিতেছে। জোর পূর্বক গাছ কাটা, মাটি কাটা, পুকুরের মাছ ধরায় বাধা দিলে কিংবা থানার আশ্রয় নিলে সু-কৌ ‘লে আর জবর দখল করিবে না মর্মে অঙ্গীকার করিলে পরক্ষণে একই কাজ করিয়া আসিতে থাকেন। এমতাবস্থায় বিবাদী আঃ মান্নাদের অত্যাচার হইতে রক্ষা পাইতে এবং আমাদের জাতি সম্পত্তি যাহা অর্পিত সম্পত্তি মোকদ্দমা নং ৫১০/২০১২ইং এর বার প্রাপ্ত সম্পত্তি রক্ষায় আপনার নিকট আবেদন করিলাম। প্রকাশ থাকা আবশ্যক যে, আ: মান্নান নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করিয়া বিভিন্নভাবে হয়রানী করিয়। বিভিন্নভাবে হয়রানী করিয়া আসিতেছে।
তফসিল সম্পত্তি
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১৬৪নং নলুয়া মৌজার এস.এ ৪৪৪নং খতিয়ানের সাবেক ৪০৮ দাগে ২৫ শতাংশ, ৪০৮ দাগে ৩০ শতাংশ, ৪০৮ দাগে ৩৫ শতাংশ, ৪২৯ দাগে ১০ শতাংশ একুনে সর্বমোট ১০০ শতক সম্পত্তি।
এ ব্যাপারে মতলব দঃ সহকারী কমিশনার (ভুমি) সেটু কুমার বড়ুয়া জানান আমরা গত ২১ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে ডিসি অফিস থেকে সম্ভুনাথ পোদ্দারের আবেদনকৃত ভুমি দখলের অভিযোগের একটি অনুলিপি পেয়েছি। আমাদের পৌর ভুমি অফিসের তহশিলদার কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন টি আমরা ডিসি অফিসে জমা দিবো। আমরা জানতে পারছি উক্ত ভুমি সরকারের সম্পত্তি ছিলো বাদি পক্ষ কোর্টে মামলা করলে তাদের পক্ষে একতরফা রায় দেয়। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আফিল করেছি। আপিলে সরকার পক্ষ যদি হেরে যায় তাহলে বাদি ১৪৫ দ্বারা মামলা করলে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে। এ ব্যাপারে
মতলব দঃ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন জানান সাংবাদিক পরিচয়দানকারি আঃ মন্নানের বিরুদ্ধে ভুমি দখল ও অত্যাচারের অভিযোগের অনুলিপি আমরা হাতে পেয়েছি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। বাদীকে হুমকি ধমকির সত্যতা পাওয়াগেলে অভিযুক্ত যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আঃ মান্নানের সাথে তার অবৈধ দখলের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি লিজ মুলে এই জায়গা দখল করে আছি, তবে আমার লিজের মেয়াদ নাই, মাললার রায়ে মুল মালিক শম্ভুনাথ পোদ্দার জয়ী হলে আমি দখল ছেরে এখনথেকে চলে যাবো।