চাঁদপুরের মতলব উত্তরে উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধানের সমালয়ের শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতলবে এই প্রথম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ‘কৃষিই সমৃদ্ধি’—এই স্লোগানে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উদ্যোগে সমলয়ে চাষাবাদ বাস্তবায়ন, শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের আমুয়াকান্দি গ্রামে শস্যকর্তন ও মাঠদিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। সভাপতি হিসাবে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান, ইউপি সদস্য জাহিদ হোসেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার।
অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলোয়াত করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। সমলয়ে চাষাবাদ বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় আমুয়াকান্দি গ্রামের ১০০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে শস্য কর্তন করা হবে। স্বগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান এই মাঠে সমালয় চাষে জমির পরিমানঃ ৫০ একর বা ২০.২৫ হেক্টর উপকারভোগী কৃষকঃ ১০০ জন জাতঃ ব্যবিলন-২ ফলনঃ ৯.২৫ টন/হেঃ উৎপাদনঃ ধান ১৮৭ মেঃট (প্রাক্কলিত) চালঃ ১২৩ মেঃটন। এছাড়া মতলব উত্তরে বোরো মৌসুমে মোট আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১শ ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৭ হাজার ৭ শ ৮৬ মে.টন্। তিনি আরো জানান, এর আগে সিড লিং ট্রেতে মেশিনের মাধ্যমে চারা তৈরি ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার-এর মাধ্যমে ধান রোপণ করা হয়। মূলত একই সাথে একই মাঠে সবাই এক ফসল চাষ করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। একসাথে চাষাবাদের ফলে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যববহার, পোকা ও রোগ বালাই প্রতিরোধ সহজ হয়। সেই সাথে কৃষকদের শ্রমিক সংকট এর কবলে পড়তে হয় না।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সরকারের এটি একটি বৃহৎ উদ্যোগ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কৃষির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। কৃষি ক্ষেত্রে সরকার সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। বীজ, সার,আধুনিক যন্ত্রপাতি ভর্তুকি মূল্যে দিচ্ছে। সেই সাথে এধরনের নতুন নতুন প্রকল্প প্রথমে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ছড়িয়ে দিয়ে প্রদর্শন করানো হচ্ছে। এটা সরকারের বড় অর্জন। আপনারা ভবিষ্যতে নিজ উদ্যোগে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন। তিনি দলবদ্ধ ভাবে চাষাবাদ এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রধান করেন। এ-সময় তিনি কৃষির উন্নয়নে অভুতপূর্ণ সহযোগিতার জন্য কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কৃষি জমিতে অবাধে বনায়ন থেকে মুক্ত করার জন্য দৈনিক বাংলার অধিকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বনায়নের ও প্রয়োজন রয়েছে, তবে তা অবশ্যই পরিকল্পিত হতে হবে।কৃষি জমি রক্ষার জন্য আমাদের সকলের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।