চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন পালন করছেন স্বনালী আক্তার বৃষ্টি (১৯) নামে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৮ টা থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরমুঘুয়া গ্রামে সাইফুল ইসলাম লিমন (২৩) বাড়িতে অনশন স্বনালী আক্তার বৃষ্টি। বিবাহ নিবন্ধন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরমুঘুয়া গ্রামের পিতা সেলিম এর মেয়ে স্বনালী আক্তার বৃষ্টি গৃদকালিন্দিয়া গালর্স স্কুলে ও একেই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম লিমন গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সম্মান শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। প্রায় ২ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর রোটারি পাবলিক এর কার্যালয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বৃষ্টি ও লিমন বিয়ে করেন (রেজি: নং ৪২৭৮/২১)। বিয়ের পরেই লিমন ও বৃষ্টি ঢাকায় চলে যান একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন, হঠাৎ দেড় মাস পূর্বে লিমন তার স্ত্রী বৃষ্টিকে ভাড়া বাসায় রেখে উধাও হয়ে যান,বৃষ্টির সাথে যোগাযোগ না হওয়ায়,পরবর্তীতে স্বামীর কোন সাড়া না পেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ১৯ মে সকাল ৮ ঘটিকা থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন করেন। ৫ ঘন্টা অনশন করার পরে ও স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে পুলিশ উপস্হিত হয়ে বৃষ্টিকে আইনগত ব্যবস্হা নিতে তার বাবার হাতে তুলিদেন। স্বনালী আক্তার বৃষ্টি জানান ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক লিমন ও আমার মধ্যে বিয়ে হয়,আমাদের দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল,হঠাৎ আমার শ্বশুর বিদেশ থেকে দেশে আসেন, বিদেশ থেকে ভিবিন্ন জিনিসপত্র তার ছেলে কে দেন।কিছুদিন পূর্বে আমার শ্বশুর,শাশুড়ি, ননদ সহকারে ষড়যন্ত্রর করে আমার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে রাখে, আমার সাথে গত দেড় মাস যোগাযোগ না হওয়ার কারণে আমি স্ত্রীর দাবি নিয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে আসি।আমার স্বামীর পরিবার আমাকে আমার স্বামীর ঘরে ডুকতে দেয়না,এবং আমার স্বামীর খোঁজ ও দেয় না। পরবর্তীতে আমার স্বামীকে পিরিয়ে পাওয়ার জন্য আইগত ব্যবস্হা নেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছি।লিমনের মাতা রিনা আক্তার জানান আমাদের সন্তানের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই,আমাদের ছেলেকে কোথায় আটক এখন আমাদের উপর দোষ দেওয়ার জন্য বাড়িতে আসছে,আমি আমার সন্তানের সন্ধান চাই।