চাঁদপুরের সদরের কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনির বিরুদ্ধে জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগে পাওয়ায় ঐ ইউনিয়নের দুটি গুদাম সিলগালা করে সদর উপজেলা প্রশাসন।
আজ সদর ইউনিয়নের গুদামে জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা ৪৫ বস্তা চালের হদিস না পাওয়ায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে গুদাম ঘর দুটি সিলগালা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।
জানা যায়, চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর ইউনিয়নে জাটকা রক্ষায় জেলেদের জন্য সরকারী ভাবে ৫৩ দশমিক ৬৮০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে জেলেদের চাল না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেন ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী। এ অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে ইউনিয়নের দেড় টন অর্থাৎ ৪৫ বস্তা চালের তদন্ত শুরু করে কিন্তু চাউলের হদিস না পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের চাল রাখার দুটি গুদাম পরবর্তীতে সিলগালা করা হয়।
এবিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীরন কাছে চাইলে
তাকে ইউপি কার্যালয় ও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কল্যাণপুরের ইউপি সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন,্ই‘দুটি গুদামে ৪৫ বস্তা চাল গরমিল পাওয়ার অভিযোগে গুদামগুলো প্রশাসনের লোকজন এসে সিলগালা করে দিয়েছে। চাল না থাকার কারণটি আমার জানা নেই। পুরো বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবের দায়িত্বে ছিল।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজ বলেন, ‘চাল না থাকার বিষয়টি জানার পর দুটি ভবন সিলাগালা করার নির্দেশ দেই। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী দায়ী। আমরা আপাতত চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেয়ার করুনঃ