চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফণীভূষণ মজুমদার তাপু ৬৮ বছর বয়সে দ্বিতীয় বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রাঙ্গনে শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে ঢাক ঢোল বাজিয়ে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে ছেলে সন্তান ও নাতি নাতনিদের সাথে নিয়ে বসে পড়েন বিয়ের পিড়িতে।
আনন্দ ময় ও উৎসব মূখর পরিবেশে বরযাত্রী ও কনে যাত্রী মিলে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাত পাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।শেষ বয়সে বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসির মাঝে কৌতুহলের শেষ ছিলো না বড়ো বয়সে আবার বিয়ে।
জানা যায়, ফণী ভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। গত বছর করোনা কালীন সময়ে তার স্ত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর দেড় বছর পর ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনিদের আবদার রাখতে দ্বিতীয় বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ফণী ভূষণ মজুমদার তাপু।কচুয়া
পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে কচুয়া উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রাঙ্গনে শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রায় ৩’শতাধিক নিমন্ত্রিত আত্মীয় স্বজন রাজনৈতিক, সামাজিক,গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন ।
আরো জানা যায়, বর মৃত নগেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার ও মাতা মৃত চারুবালা মজুমদারের ছেলে ফণী ভূষণ মজুমদার তাপুর সাথে কনে কুমিল্লা কান্দির পাড় নিবাসী নাগ বাড়ির মৃত অরুন চন্দ্র নাগ ও মাতা শেপালি রানী নাগের দ্বিতীয় মেয়ে শিল্পী রানী নাগের সাথে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।বিয়েতে কোন রকম কমতি ছিল না, বিয়ের সকল কার্যক্রম আনন্দ ময় ও উৎসব মূখর পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে বাবা মৃত নগেন্দ্র চন্দ্র নাগ, মাতা শেপালি রানী নাগের চার ছেলে ও দুই মেয়ে তার মধ্যে শিল্পী রানী নাগ ২য় মেয়ে।
এছাড়াও বৃদ্ধ বয়সে মাঝারি বয়সের কনে কে বিয়ে তাই নব বধূকে দেখতে শত শত নারী পুরুষ ভীর জমায়।
এদিকে ফণী ভূষণ মজুমদারের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন, আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম।এ অবস্থায় পরিবারের সকলের সম্মতিতে বিবাব বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।তিনি সকলের কাছে আর্শীবাদ ও দোয়া কামনা করেছেন।