চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত নির্যাতন করেছে এলাকার একদল প্রভাবশালী। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় এ ভয়ানক বর্বরোচিত হামলায় শেখ ফরিদ মৃধা (৪০), ফয়েজ আহমেদ (৪৬) গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করা করে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার (১৩ মে) ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর বাজারে প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন (৬৫), মো. লোকমান হোসেন (৬৮), মাহাবুব আব্দুল সোহেল (৩২)।
এলাকাবাসী জানান, সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে তদন্ত রির্পোট পাঠানোর পর বাদী শেখ ফরিদ মৃধা ও তার ভাই ফয়েজ আহমেদকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ এলাকার প্রভাবশালী দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোশারফ হোসেন বাহার, মোজাম্মেল হোসেন ও নুরুল আমিন গ্যাংরা প্রকাশ্যে তাদের হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত এ র্নিযাতন চালায়।
হামলার শিকার শেখ মৃধা জানান, শুক্রবারে আমরা দুই ভাই প্রয়োজনীয় কাজে রুস্তুমপুর বাজারে গেলে আমাদের প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোজাম্মেল হোসেন বাবুল, হোসেন ফকির, সোহেল হাজী, মিজান হাজী গ্যাং’সহ আরও কয়েকজন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের বেধড়ক মেরেছে। এ সময় খবর পেয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাঁচাতে এলে তাদের ওপরও হামলা করে তারা। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ পায়ের বাঁধ খুলে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানায় মারধরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল সংক্রান্তে ৩ জনকে আসামি করে গ্রেপ্তার সংক্রান্তে প্রেস রিলিজ করেছেন এ এসপি সার্কেল সোহেল মাহমুদ। এ সময় ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ শহীদ হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।