চাঁদপুরের কচুয়ার কাদলা ইউনিয়নের গুলবাহার গ্রামের জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা শামছুল আলম খানের নির্মাণাধীন দু’তলা বাড়ি মৌমাছিদের দখলে রয়েছে। তবে এই মৌমাছিরা কখনো কাউকে আক্রমণ করেনি বলে বাড়ির মালিক ও আশপাশের লোকজন জানান।
প্রথম প্রথম সংঘবদ্ধ মৌচাক দেখে পরিবারের সবাই ভয়ে আতঙ্কিত থাকলেও এখন আর কেউ ভয় পায় না। বরং নিয়মিত মধু সংগ্রহ করে আনন্দিত শামছুল আলম খানের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও মধু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এ বাসার মালিক।
ভবনটি করার কিছুদিন পর থেকেই মৌমাছিরা এসে তার ভবনে বাসা বাঁধে। প্রথম বছর দু-একটি করে চাক তৈরি করলেও প্রতিবছরই এই চাকের পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত ৩ বছর ধরে তার ভবন ও ভবনের পাশের গাছে মধুর চাক বসিয়েছে। বর্তমানে ওই বাড়িতে প্রায় ১২টি মধুর বাসার চাক রয়েছে।
ব্যাংকার শামছুল আলম খান বলেন, মৌমাছিদের পরিচর্যা, মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সবই করে থাকি। মৌমাছিদের কেউ বিরক্ত না করলে তারা এভাবেই থাকবে বলে জানান বাড়ির মালিক। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় মৌমাছিরা তার ভবনের চারদিক ঘিরে রাখে।
প্রতিবেশী বিপ্লব খান জানান, দেখতে খুবই ভালো লাগে। মৌমাছির বাসা দেখতে প্রতিনিয়ত এলাকার শৌখিন লোকজন ওই বাড়ির আশপাশে ভিড় জমান।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, পরিকল্পিকতভাবে মৌচাকগুলো সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। তবে মৌমাছির চাকে যেন কেউ ঢিল না ছুড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি মধুর যে চাক রয়েছে সেই চাকগুলো কেটে মধু সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন তিনি।