বন্দরনগরী ভৈরবে অতিরিক্ত চাঁদা না দেয়ার কারণে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী দোকানী রাসেল মিয়া জীবনের নিরাপত্তার জন্য ভৈরব থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সে ভৈরব শহরের কালিপুর গ্রামের ১১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ ওসমান গণি মিয়ার বাড়ীর বরজু মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। সেখানে ব্যবসা করতে গিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৭০০টাকা চাঁদা দিয়ে আসছেন আতিক মিয়া নামক ওই ব্যক্তিকে। তারমত আরো ৮ থেকে ১০জন দোকানীর কাছ থেকে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত চাঁদা নেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। গতকাল ৯মে, সোমবার আতিক মিয়া কতিপয় লোকজনকে সাথে নিয়ে তার দোকানে এসে এখন থেকে নির্ধারিত ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত দুই হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই দোকানীর হামলা চালিয়ে জনসম্মূহে তাকে মারধর করেন আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন বলে জানান। অভিযুক্ত ও হামলাকারীরা হলো, ভৈরবপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে আতিক মিয়া (৫৬), আজগর আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩০) ও চন্ডিবের গ্রামের জামাল মিয়া (৩১) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি।
এ ঘটনায় ৯মে গত সোমবার ভৈরব থানার জিডি করার পরদিন মঙ্গলবার দপুরে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ও গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান। তিনি এঘটনার সঠিক বিচার ও দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন।
এই বিষয়ে সুষ্ট সমাধানের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কে জিজ্ঞেসা বাদের জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করে না পেয়ে তার আত্বীয়ের সাথে মুঠো ফোনে বিস্তারিত কথা বললেও সমাধানের ব্যাপারে কেউ এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি।