ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ এনে পাবনার আটঘরিয়ায় অনিক হোসেন নামে ১১ বছরের এক শিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযোগে কামাল হোসেন ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার দুপুরের দিকে আটঘরিয়া পৌরসভার উত্তরচক মহল্লার জাহানারা খাতুনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু অনিক হোসেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের কামাল হোসেন ভুঁইয়ার মেয়েকে ইভটিজিং করত সমসময়ই এমন অভিযোগ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে অনিককে।
এরপর তার বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে অনিককে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি স্থানীয়রা ভিডিও ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে কামালকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার আটঘরিয়া থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
আটঘরিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আজ নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে চারজনের নামে একটি মামলা করেন।
এদিকে কামাল হোসেন জানান তার মেয়েকে সব সময়ই অনিক কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো অনিক ছোট বলে পুলিশ ও এখানকার স্থানীয় মানুষদের চোখে পড়েনা।
আমি বহুদিন ধরে আমার মেয়ের সাথ এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে তাকে নিয়ে জিজ্ঞেস করছিলাম কিন্তু অনিক বলে আরও করব, তারকারনেই আমি তাকে শাসন করেছি মাএ।
এমন ও তো হতে পারত যে আমার মেয়েকে জোড়করে ধষন করতো তখন কি হতো।
পুলিশ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। ওসি আরো জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং মূল ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন সে ভালো আছে।