তাপস সাহাঃ দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর ১১মে রোজ বুধবার ২০২২ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর সদর থানা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাংগঠনিক ভাবে প্রতি তিন বছর পরপর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও কোন এক অদৃষ্ট শক্তির কারনে এত বছর সম্মেলন হয়নি। যার কারনে সদর থানা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক ভাবে বেশ পিছিয়ে রয়েছে বলে নেতাকর্মীদের ধারনা।
ইতিমধ্যে সভাপতি ও সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছেন। দিন রাত তারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছেন। পাশাপশি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথেও সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছেন। এবার সম্মেলনে বেশ কয়েকজন প্রার্থী হয়েছেন। সভাপতি পদে কবির হোসেন পাটোয়ারী অঘোষিত ভাবে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজন প্রার্থী থাকলেও রাজনীতির মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। রাজনৈতিক জিবনে তিনি ১৯৯৩ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পদক, ২০০৪ সালে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৫ সালে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দাযিত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পদক এবং ২০১০ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দাযিত্ব ও কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলেন। এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করেন। ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সর্বকনিষ্ট সদস্য হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন।
এছাড়া সামাজিক ভাবে করোনাকালীন সময়ে ইনাফা ও সবুজ বাংলাদেশ এর সদস্য হয়ে লাশ দাপন করে সকলের আস্তাভাজন হন। মনিরুজ্জামন পাটোয়ারী জানান, ২০০১ থেকে ২০০৬ পযর্ন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহন করায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগসহ ৫টি মামলায় কারাভোগ করেন। তিনি আশা করেন তার রাজনৈতিক বেকগ্রাউন্ড,সামাজিক অবস্থান এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন বিবেচনায় জেলা ও কেন্দ্রীয় সেতৃবৃন্দ তাকে সাধারন সম্পাদক নির্বচিত করবেন।
এছাড়াও সাধারন সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছন জেলা পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন(মেম্বার),২নং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহালম,সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল হাসান পলাশ।