সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১১মে পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নামে ত্রি- বার্ষিক হলেও বাস্তবটা ভিন্ন। প্রায় ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ইতিমধ্যে সভাপতি ও সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছেন। দিন রাত রাত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছেন। পাশাপশি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথেও সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছেন। সম্মেলনে বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতারা প্রার্থী হয়েছেন। সভাপতি পদে যারা আলোচনায় রয়েছন তাদের মধ্যে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (মন্ত্রী), সৈয়দ আহম্মদ পাটোয়ারী, জাতির হোসেন ভুইয়া৷ আহাদ, এডভোকেট রাসেল, সম্পাদক পদে এডভোকেট জহির উদ্দিন বাবর, আরিফ হোসেন মিঠু, আবুল খায়ের। আরো অনেকেই রয়েছেন যারা সরাসরি আলোচনায় না আসলেও সম্মেলনের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন। তাদের মধ্যে অন্যতম জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু। নাম প্রকাল না করার শর্তে অনেক নেতাকর্মীই জানান, আগামী ১১মে সম্মেলনের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন সালাউদ্দিন টিপু। কারন নেতা হওয়ার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার সকল যোগ্যতা সালাউদ্দিন টিপুর মধ্যে রয়েছে।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ঃ বর্তমান পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী(মন্ত্রী)। দীর্ঘদিন ধরে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক জিবনে তিনি জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দ্বায়িত্বও পালেন করেছেন। নির্লোভ, র্দুসময়ের কান্ডারী, কর্মীবান্ধব ইসমাইল হোসেন চৌধুরীকে পুর্নরায় সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য অনেকেই দোয়া ও সহযোগীতা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।
জহির উদ্দিন বাবর ঃ এডভোকেট জহির উদ্দিন বাবর বর্তমান পৌর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পদক। বরাবরই একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। বাবার দেখানো পথেই রাজনীতি শুরু করেন। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তার বাবা মরহুম এডভোকেট নুরুল হক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রয়েছে। আওয়ামীলীগের রাজনীতি এক সময় তাদের বাসা থেকে পরিচালিত হত। রাজনৈতিক জিবনে স্কুল ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ, জেলা ছাত্রলীগের দ্বায়িত্ব পালন করেন। সাবেক সাধারন সম্পদক মনিরুল করিমের মৃত্যুর পর তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের আর্শিবাদে সদস্য পদে থেকে সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পান। দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর পৌর আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করেন। সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতা নির্বাচন করায় র্নিলোভ, বিচক্ষন ও কর্মী বান্ধব এই নেতাকে পুনরায় সাধারন সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায় নেতাকর্মীরা।
সৈয়দ আহম্মদ পাটোয়ারীঃ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী। জেলা যুবলীগের দায়িত্ব ছাড়ার পর দীর্ঘদিন পদপদবী ছাড়াই আন্দোলন-সংগ্রাম, দলীয় কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামীলীগ রাজনীতি শুরু করেন কলেজ জিবন থেকে। পরে সদর উপজেলা ছাত্রলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, ও জেলা যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেন।
আবুল খায়ের ঃ কলেজ জিবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। পরে পৌর ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজিবনে প্রবাসে গিয়েও আওয়ামীলীগ রাজনীতি ছাড়েননি। সৌদী আরব বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দেশে ফিরে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দায়িত্ব নেন। বর্তমানে তিনি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী।
জাকির হোসেন ভুইয়া আজাদঃ জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক এড. নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ আশির দশকে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন। পরে কর্ম জিবনে ব্যস্ত হয়ে পরলেও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সবসময় সম্পৃক্ত ছিলেন। সমাজে তিনি রাজনীতিক ও সামাজিক ব্যক্তি হিসাবে বেশ পরিচিত। বর্তমানে জাকির হোসেন ভুইয়া আজাদ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী।
আরিফ হোসেন মিঠুঃ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী। নব্বই দশকে প্রিডম পার্টি যখন বেশ সক্রিয় ছিল তখন হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রলীগের মধ্যে আরিফ হোসেন মিঠু অন্যতম। তিনি সদর থানা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগকে একটি শক্তশালী সংগঠনে পরিনত করেন। পরবর্তিতে কর্মজিবনে ব্যস্ত হয়ে পরলেও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সবসময়।