৫ টাকায় ৭ শতাধিক ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ করেছে ঠাকুরগাঁওয়ে অন্যতম সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায় (জুলুম বস্তি)। এতে চরম আনন্দিত ও খুশি হয়েছেন উপকারভোগীরা।
রোববার ( ০১ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড়) ঈদ বাজার বিতরণ করেন সহায় (জুলুম বস্তি)।
তৃতীয় বারের মতো এবার ৭০০ পরিবারকে ৫৫০টাকার ঈদ বাজারের প্যাকেজ দেওয়া হয় শুধু মাত্র ৫ টাকায়। এতে সেমাই, চিনি, পোলাউর চাল, তেল, ডাল, পিয়াজ ও একটি করে মুরগি দেওয়া হয়।
এসময় সহায় সংগঠনের সভাপতি সুজন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান দরিদ্রদের হাতে এসব ঈদ বাজার তুলে দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর রিজিয়ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও চিকিৎসক ডা: সুভেন্দু কুমার দেবনাথ, সহায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন সাগরসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
৫ টাকায় ঈদ বাজার পেয়ে নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা নুরজাহান (৬০) বলেন, ‘বয়সের কারণে ও একটি হাত ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আমি ঠিকমতো কাজ করতে পারিনা। ৫ টাকা দিয়ে ঈদের এসব বাজার পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ঈদের দিন চারটা ভালোমতো খেতে পারব।,
জগন্নাথপুর কালিতলা গ্রামের দিনমজুর আনোয়ার হোসেন ঈদ বাজার পেয়ে বলেন, এই সংগঠনটি একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আল্লাহ তাদের ভালো করুক।
হাজীপাড়ার মোমেনা আক্তার মনি নামে এক গৃহবধূ বলেন, ৫ টাকায় সেমাই, চিনি, চাল,ডাল মুরগি সহ অনেক কিছু পেয়েছি। এসব ঈদের দিন ভাল করে রান্না করে খেতে পারব। এতে খুব খুশি হয়েছি। আমাদের গরিবদের জন্য খুব ভালো হয়েছে।
মুন্সিরহাট থেকে আসা সুমন জানান, বর্তমানে সবকিছুর দাম বেশি। তাই খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঠিকমতো খাদ্য কিনতে পারে না। সহায় যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এটি খুবই ভালো। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
সহায় সংগঠনের সভাপতি সুজন খান জানান, ঈদ উপলক্ষে এবার দিয়ে তৃতীয় বর্ষে আমরা অসহায় দরিদ্র ও যারা চেয়ে খেতে পারে না তেমন ৭০০ জনকে খুঁজে বের করে ৫ টাকায় ঈদ বাজার প্রদান করেছি।
সহায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন সাগর বলেন, এমন মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে মনের ভিতরে প্রশান্তি ও স্বস্তি অনুভব হয়। সমাজের বিত্তবানরা যদি এমন কাজে এগিয়ে আসেন তাহলে আগামীতে আরো বেশি মানুষকে এভাবে সহায়তা করতে পারব আমার।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সহায় এর এমন আয়োজন আসলেই প্রশংসনীয়। তাই আমি সহায়’র সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আর এমন আয়োজনে থাকতে পেরে জেলা প্রশাসনও সম্মানিত বোধ করছেন।