আজ রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঈদ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো শক্তির কাছে জিম্মি নয়। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এই দেশের জনগণ। জনগণ যাদের ক্ষমতার উৎস তারা অন্য কোনো শক্তির কাছে জিম্মি হতে পারে না। নিজের পায়ে আওয়ামী লীগ হাঁটে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করেছে এ দল। এদেশের প্রতিটি সংকটে, প্রতিটি দুর্যোগে সবার আগে ছুটে এসেছে আওয়ামী লীগ, সবার আগে ছুটে গেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সারাদেশের অসহায় কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানসিবকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সংকটে দুযোগে কখনও আমাদের হতাশ হতে হয় না, আমাদের দেশের প্রতিটি সংকটে প্রত্যেকটি সংকটে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, তার বিচক্ষণ নেতৃত্ব এবং ক্রাইসিকে ম্যানেজ করার যে যোগ্যতা, তিনি একজন দক্ষ ক্রাইসিস ম্যানেজার। আজকে আমরা তার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনাদের মনে আছে যখন বিরোধী দলে তখনও আওয়ামী লীগ ছিল সবার আগে। সেই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল, বন্যা, ঝড় কবলিত অসহায় মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়েছে বারে বারে। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা এক অনন্য উদাহরণ আওয়ামী লীগের, সংকটে দুরোগ্য মানুষকে সাহায্য করা। অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি ঈদ উপলক্ষে যে আয়োজন করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করা হচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
মে দিবস নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সব শ্রমিক ভাই-বোনদের শুভেচ্ছা জানাই মেহনতি মানুষের এই শুভ দিনে তারা যে ইতিহাস সৃষ্টি করে সারা দুনিয়ায় মে দিবস উদযাপিত হয়। বাংলাদেশেও পালন করছে উৎসবমুখর পরিবেশে। পহেলা মে শুধু অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের জেগে উঠার দিন নয়, এটি একটি ঐকের দিন। সব শ্রমজীবী মানুষের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী কাজের জয় যাত্রাকে এগিয়ে নেবে, এটাই আজকের শপথ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।