বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও জিংক ধানের বীজ বিতরণ মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুলিয়ারচরে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা মরদেহটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর নবীনগরে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত কুলিয়ারচরে মেসার্স সালমান এন্টারপ্রাইজের উদ্বোধন সিরাজদিখানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপজেলা পরিষদে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলো বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক  ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রইছ উদ্দীন সাজু মাষ্টার কে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা ব্যস্ত প্রবাস জীবনে আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের বাৎসরিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বাংলাদেশী যুবক গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে অনুর্দ্ধ-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন চিন্ময় কৃষ্ণদাস এর মুক্তির দাবিতে হামলার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা : গ্রেফতার-২৩
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

ডেমরায় ঈদ বকশিশ ও ঈদ সামগ্রী বিতরনের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ-দৈনিক বাংলার অধিকার

সালেহ আহমেদ, ডেমরা ঢাকা প্রতিনিধি / ৩৭৭ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৮:১৯ অপরাহ্ণ

প্রতিবছরের ন্যায় আবারও রাজধানীর ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় বীরদর্পে ঈদ ও ইফতার পার্টির নামে বিভিন্ন সংগঠনের চাঁদাবাজি চলছে বলে অতিষ্ঠ মানুষ। এবারও রোজার মাস আসতেই শুরু হয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন চাঁদাবাজি। এতে ক্ষুদ্ধ রয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ী ও সুশিল সমাজ। এ বছরও চাঁদা দিতে তারা যেন জিম্মি হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলররাসহ নারী জনপ্রতিনিধি, সকল প্রকার ব্যবসায়ী, পরিবহন সেক্টর প্রধানরা, সকল শিল্পকারখানা ও নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বর্তমানে জিম্মি দশায় রয়েছেন।এদিকে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের টেলিফোনে মুখ লজ্জায় তারা নাও করতে পারেছেন না। এ বিষয়ে প্রশাসনও যেন নির্বিকার হয়ে পড়েছেন। কারণ ঈদ ও ইফতার পার্টির নামে টাকা আদায়ের বিষয়ে খোলাখুলিভাবে কোন আইনি অভিযোগ নেওয়া যাচ্ছেনা বা ভুক্তভোগী কোন মহল অভিযোগ করছেন না। তবে থানা পুুলিশ বলছে যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে দ্রæত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিজ্ঞমহল বলছেন, প্রশাসনের বিনা নজরদারির কারণে কিছু অসাধু মহল কার্ড ছাপিয়ে এসব নিবর চাঁদাবাজি করছেন।

বরকত-নেয়ামতের এ মাসে ডেমরা ও আশপাশের অঞ্চলে বিভিন্ন অসাধু ভুঁইফোড় রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন সমিতি, ভূয়া মানবাধিকার সংস্থা ও নামে-বেনামে সংগঠন করে সময় ভেদে ইফতার পার্টির আয়োজন শুরু করেছে। আর ইফরাতের নামে চলছে রাজনীতি ও চাঁদাবাজি যা অন্তত কোন মুসলমান সংগঠনের করা উচিত নয়।অথচ ইফতার পার্টির নামে কার্ড ছাঁপিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও কলকারখানার ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের সালামি দাবি করে চাঁদাবাজির বিষয়টি এখন নিয়ন্ত্রণহীন ও ওপেন সিক্রেট।

এ বিষয়ে বামৈল এলাকার এক প্যাকেজিং ম্যানেজার আবু সালেহ খাঁন বলেন,এক গ্রæপের ৪ জন এসেছে বড় বড় ক্যামেরা নিয়ে গরিব দু:খিদের কাপড় দেওয়ার নাম ও ইফতার পার্টির নামে দুই কেটাগরিতে টাকা নিতে। বাধ্য হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে টাকা দিলাম।কথিত আরেক অনলাইন টিভির সাংবাদিক কয়েকজন ক্যামেরা নিয়ে সোজা কারখানায় ঢুকে ভিডিও করা শুরু করেছে। তাদেরও লজ্জায় পড়ে টাকা দিয়ে বিদায় করতে হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,বিভিন্ন সংগঠনের নামে কতিপয় অসাধু মৌসুমি চাঁদাবাজরা রমজান মাস এলেই ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বাধ্য করছেন চাঁদা দিতে। না দিলেই চলছে বিভিন্ন ঝামেলাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন। অথচ সামাজিক মান-মর্যাদার ভয়ে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা চাঁদা দিয়ে দিলেও বাস্তবিক কিছু বলতে পারছেন না তারা। আর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগীরা। কতিপয় বেপরোয়া সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই ইফতার পার্টি আয়োজনের নামে চাঁদা তুলে নিজেদের পকেট ভারী করছেন।

ভুক্তভোগীদের আরও অভিযোগ, ডেমরায় বেশকিছু ভূয়া সংগঠন রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত কোন উপলক্ষ্য আসলেই চাঁদা তোলা শুরু করেন। শীতকালিন বনভোজন, রমজান মাসের ইফতার পার্টি ও ঈদকে সামনে রাখাসহ সবকিছুতেই তাদের চাঁদাবাজি চলবে। এখানকার নিয়ন্ত্রণহীন চাঁদাবাজি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীমহল।

স্থানীয় জাকারিয়া ফ্যাশনের কর্নধার মো. সাইদুল মাদবর বলেন, রমজান আসলেই সাংবাদিক সংগঠন, মানবাধিকারসহ নানা কৌশলে কার্ড দিয়ে, অসহায়ত্ববোধের নাটক করে চাঁদা আদায় করে। বনভোজনে ও এমনি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার টাকাও দাবি করে বছর ব্যাপি। এসব বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক হয় বলে বিষয়টি এমন যে গলার কাটা ফেলতে পারিনা আবার থাকলেও কষ্ট।

ভুক্তভোগীদের অভিমত, যারা সঠিক সামাজিক সংগঠনে জড়িত রয়েছেন আর যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন তারা বছরে একবার ইফতার পার্টি করবে এ নিয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।কিন্তু ডেমরায় বেশ কিছু ভূয়া নামে বেনামে সংগঠন রয়েছে তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে আমরা ক্ষুব্ধ-অতিষ্ঠ।

দেখা গেছে, ডেমরায় ছোট-মাঝারি ও বড় মিলে সাড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক সরকারি-বেসরকারী শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমল-মার্কেট রয়েছে। আর সংগঠনের নামে মৌসুমি চাঁদাবাজরা প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে রোজার শুরু থেকেই যাওয়া শুরু করেছে বলে তাদের অভিযোগ। বাহারি কার্ড ছাপিয়ে নানা কৌশলে প্রতিষ্ঠান ভেদে অংক বসিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে। মুখলজ্জায় পড়েও তাদের ইফতার পার্টির নামে চাঁদা দিতে হচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয় মন থেকে মেনে নিতে পারছেননা ভুক্তভোগীরা। নানা রকম বিরম্বনা এড়াতে প্রকাশ্যে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো যাচ্ছেনা। তাছাড়া ইফতার পার্টি ধর্মীয় বিষয় বলে সেখানেও লজ্জা। আর এ সুযোগে অসাধুরা মানুষের বিবেক জিম্মি করে বছরের পর ঈদ ও ইফতার পার্টির নামে টাকার অংক নির্ধারণ করে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। যদি কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি প্রতিবাদ জানায় বা টাকা কম দেওয়ার আবদ


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!