সম্প্রতি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেট এলাকার দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা যে ১০টি দাবি জানিয়েছে তারই একটি এ দুই মার্কেটের জমি ঢাকা কলেজকে ফেরত দেওয়া।
জায়গাটি যে এককালে ঢাকা কলেজের ছিল না- সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ীরা এমন দাবিও করেননি। ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষকরাও বলছেন, এই সম্পত্তি কালেভদ্রে বেদখল হয়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও নিউ সুপার মার্কেট সিটি করপোরেশনের ‘রেকরড
ঢাকা কলেজের এই দাবির পরে আমরা এটা আমাদের সম্পত্তি বিভাগে চেক করে দেখেছি এটা সিটি করপোরেশনের জায়গা। তাদের দাবি সঠিক নয়।”
ফরিদের ভাষ্য, “সর্বশেষ সিটি জরিপের রেকর্ডে এটা সিটি করপোরেশনের নামে। এটা একসময় হয়ত ঢাকা কলেজের ছিল। কিন্তু সর্বশেষ জরিপেও এটা সিটি করপোরেশনের নামে রেকর্ড হয়েছে।”
ঢাকা সেটেলমেন্টের সিটি জরিপ শেষের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিটি জরিপ বা মহানগর জরিপ মূলত ঢাকা মট্রোপলিটন শহর এলাকায় ১৯৯৫-২০২১০ সময়কালে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপ।
ঢাকা কলেজের দাবি
নিজেদের ৬ একর জমি বিভিন্ন সময়ে বেহাত হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে আসছেন দেশের প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই জমি ফিরে পেতে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তাদের।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার নিউ মার্কেটের আশেপাশের বিপণিবিতানও খুলেছে।
ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এই সম্পত্তি বেদখল হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ আবুল হোসেনকে ‘দায়ী’ করেন।
তিনি জানান, অধ্যাপক আবুল হোসেন ১৯৮৬-৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন।
পাকিস্তান আমলের শুরুর দিকে আজিমপুরের উত্তর পাশে গড়ে ওঠা কেনাকাটার স্থানটিই ৮০ এর দশকে সামরিক শাসক এরশাদের আমলে নিউ সুপার মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এর মত আলাদা ব্লক হয়ে ওঠে।