চাঁদপুর শহরে গদি থেকে কর্মচারীকে ছাটাই করে পাওয়া টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের দ্বারা মারধর ও ছিনতাইয়ের স্বীকার হয়েছেন জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাবেক মহিলা কমিশানের ছেলে ভুক্তভোগী মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসী (৩৪)।
২০ এপ্রিল বুধবার রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এই অভিযোগ দেওয়া হয়।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, যমুনা রোডের মুনছুর আহম্মেদের ছেলে মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসী (৩৪) বড় স্টেশন মাছ ঘাটে মাছের ব্যবসা করতো। তার সাথে গদিতে বিবাদী আছলাম (৩৫) কর্মচারী হিসেবে মাছের কাজ করতো। পরে বিবাদী আছলামের সাথে মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসীর টাকার হিসাব বনিবনা না হওয়ায় তাকে মাছের গদি থেকে ছাটাই করা হয়। আর এর পর থেকেই বিবাদী আসলামের সাথে মাসুমের শত্রুতা শুরু হয়। এবং আছলাম বকেয়া টাকা মাসুমকে পরিশোধ করতে নানা তালবাহনা শুরু করে।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসীকে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিবাদী রাশেদ(৩২), রুবেল মাঝি (৩২) এবং আছলাম (৩৫)সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এই সময় মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসীর প্যান্টের পকেটে থাকা ব্যবসায়ের নগদ ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জোর করে ছিনতাই করে প্রতিপক্ষরা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসীর মা সাবেক মহিলা কমিশনার লতিফা বেগম জানান, আমার ছেলে মাসুম বিল্লাহ বন্ধুকসীকে ইফতার করতে না দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো।আমার ছেলেকে ওরা এখনো প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার ছেলের প্রতি হামলার ও ছিনতাইয়ের টাকা দ্রুত উদ্ধার করতে পুলিশের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
এই বিষয়ে প্রতিপক্ষ রাশেদ(৩২), রুবেল মাঝি (৩২) এবং আছলাম (৩৫)কে তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস আই শাহারিন বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।