লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের পশ্চিম চর উভূতি গ্রামে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির সয়াবিন ক্ষেতে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় এমন ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষক ইসমাইল হোসেন, আলী আশরাফ ও আব্বাস হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উভূতি গ্রামের চকবাজার সংলগ্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ ফসলি ক্ষেতে সয়াবিন চাষ করা হয়।গত দুইদিনের বৃষ্টিতে সয়াবিন ক্ষেতগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি জমেছে। এর আগে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন থাকলেও সেটি এ মৌসুমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই পানি বের হতে পারছে না। তারা জানান, সম্প্রতি চকবাজার সংলগ্ন একটি খানকা শরীফ নির্মিত হয়েছে। ফসলি জমি এবং আশপাশের বসতবাড়ির পানিগুলো বিগত ৩০ বছর ধরে যে স্থান দিয়ে নেমে যেত, সেখানে এখন খানকা শরীফের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।ফলে ওই এলাকার প্রায় ২০-২৫ একর জমির সয়াবিনসহ অন্যান্য সবজি হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষকরা বলেন, অতিদ্রুত ক্ষেত থেকে পানি সরিয়ে ফেলতে না পারলে সয়াবিন গাছ মরে যাবে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
কৃষক সফিক বাঘা বলেন, আমি ৮০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি, কয়েকদিন পর মাঠ থেকে সয়াবিন ঘরে তোলার আশায় ছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে সয়াবিন গাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে আমি আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মধ্যে পড়বো।
খানকা শরীফের পীর এএসএম ওয়াদুদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তাঁর সহকারী পরিচয়ে একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি স্থানীয় কৃষকদের সমস্যার বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি বলেন, খানকা শরীফের মাঠ ভরাটের কারণে বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় ফসলি ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এতে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকরা আমাকে জানিয়েছে। কৃষকদের স্বার্থে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে।