চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ও আলোনিয়া গ্রামের কুঠি খালের ওপরের কালভার্টির পাশের নিচের পিলার ও সেতুর সামনে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে কয়েক গ্রামের মানুষ ও যানবাহন।
কালভার্টের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যানবাহন চলাচলের সময় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি দিয়ে গৃদকালিন্দিয়া , সাহেবগঞ্জ, আলোনিয়া গ্রামের মানুষসহ প্রায় পাঁচ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর নিচের অংশের পিলার নেই এবং সামনে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন কালভার্ট ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ফলে প্রায়ই ঘটে ছোট-খাট দুর্ঘটনা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দুইপাশে দেওয়া হয়নি কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।অটোরিকশা চালক রাসেদ মিয়া বলেন, কালভার্টির ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা এ সেতুটি ব্যবহার করছি। সেতু ব্যবহার না করলে আমাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। কালভার্টি খুব শিগগিরই মেরামত করা প্রয়োজন।স্থানীয় বাসিন্দা তাজুল ইসলাম, ইমাম হোসেন, আমিনুল ইসলাম, রহিম হোসেন, রিপন হোসেন, সোহাগ বেপারী জানান, সেতুটির বর্তমান অবস্থা এমন যানবাহন চলাচল মুশকিল। সেতুটির নিচে পিলার নেই এবং সামনে গর্তটি বেশ বড় হয়ে গেছে। কোনোরকম অসাবধানতাবশত হতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।
ফরিদগঞ্জ ১৬ নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন বলেন, কালভার্টির ওপর দিয়ে মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খুব শিগগিরই এখানে একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।এলজিইডি ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার হোসেন বলেন, ওই কালভার্টির বিষয়টি আমরা অবগত আছি।
আমরা কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়য়েছি। টেন্ডার প্রক্রিয়া ও সম্পুর্ন করা হয়েছে।আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এখানে নতুন কালভার্ট নির্মাণে কাজ শুরু করা হবে।