গজারিয়ায় নিম্নাঞ্চলের বোরো ও ইরি চাষীদের মাথায় হাত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের একাধিক এলাকাসহ অন্যান্য ইউনিয়নে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বোরো ও ইরি ধান চাষীদের জোয়ারে নদীর পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার মাথায় হাত ।
সোমবার সকালে বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া নদী সংলগ্ন, মনাইরকান্দি নদীসংলগ্ন, চরবাউশিয়া নদী সংলগ্ন এলাকা সহ অন্যান্য ইউনিয়নের একাধিক নদী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায় বোরোও ইরি ধান অধিকাংশ ধানের ফুল বের হয়েছে। কিছু জমিতে ফুল ধানের ভিতর চলে গেছে। জোয়ারে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধিতে সমস্ত ধান পানিতে ডুবে যাচ্ছে। তিন থেকে চার দিন যাবত জোয়ারের সময় চাষীদের এই ধানের জমি পানিতে তলিয়ে যায়।
মনাইর কান্দি গ্রামের ধান চাষী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, টেক পাড়া গ্রামের চাষি রজ্জব মিয়া, আউয়াল মিয়া সহ একাধিক এলাকার চাষীরা জানান ধানের ফুল বের হওয়া মাত্র জোয়ারে নদীর পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ধান চাষিদের মাথায় হাত। পানিতে তলিয়ে যাওয়া অধিকাংশ জমির ধান পুষ্টি হবে না । অধিকাংশ ধান চাষী ফসলের আসা থেকে বঞ্চিত হল । তাদের দাবি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি অপরদিকে প্রকৃতির বৈরী আচরণে তারা দিশেহারা ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ নূর জানান গজারিয়া উপজেলা ৪৮হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে । পূর্ণিমার সময় জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ৪৮ ঘন্টা পর এই পানি কমতে থাকবে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধানের মধ্যে ফুল ধানের ভিতর আছে এমন ধান নষ্ট হবে না। ধান পাকা ও কাটার পরে বোঝা যাবে কি পরিমান ধান অতিরিক্ত জোয়ারে পানি বৃদ্ধির কারণে নষ্ট হয়েছে।