বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে ভূমিকা রাখায় জাতীয় সংসদে প্রশংসা পেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ‘সাহসিকতার সঙ্গে অ’বৈ’ধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীর জমি সরকারের দখলে নিয়ে আসায়’ সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা তাকে ধন্যবাদ জানান।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সংসদে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল পাসের সময় বিলটি নিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এমপিরা।
বিলটির জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বুড়িগঙ্গা নদীর দখলমুক্ত করেছেন সাহকিতার সঙ্গে। বুড়িগঙ্গা নদীর যারা দখলদার ছিল; তাদের মধ্যে সরকারি দলেরও অনেকে ছিল। তিনি তাদের সবকিছু উপেক্ষা করে দখলমুক্ত করেছেন। অনেক অ’বৈ’ধ স্থাপনা ভে’ঙে ফেলে সরকারের আয়ত্তে এনেছেন।
তিনি বলেন, আম’রা শুধু সমালোচনাই করি না। ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ দেই। এজন্য বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করতে তাকে ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন।জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বুড়িগঙ্গার দখল হয়ে যাওয়া ভূমি উ’দ্ধা’রে অ’ত্যন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। সততার সাথে তিনি অনেক প্রভাবশালীদের বি’রু’দ্ধে বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ অ’ভিযান করেছেন।
দলটির আরেক সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, বুড়িগঙ্গা দখল মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটা আবার দখল হয়ে যেতে পারে। এতো ক’ষ্ট করে দখলমুক্ত করা হয়েছে। এটা যেন আর দখল হতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এক সময় বুড়িগঙ্গায় নৌবিহার হতো, এটা যদি এই সরকারের সময় আবার চালু হয়, তাহলে ভালো হবে।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ১৩ বছরে ২৬টি ঈদ হয়েছে। আম’রা যারা সড়ক ও বিমানে বাড়ি গিয়েছি কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়েছি এবং যানজটে পড়েছি। বিকল্প সমাধান অধিক সংখ্যক বিমানবন্দর ও নৌ চ্যানেল তৈরি করা। বর্তমান নৌপ্রতিমন্ত্রী অনেকগুলো নৌ চ্যানেল বের করেছেন। উদ্ভাবনী শক্তি দেখাচ্ছেন। তবে এটা আরও অনেকগুণ প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালুনদী এবং শীতলক্ষ্যা ঢাকার এই চার নদী উ’দ্ধা’রে অ’ভিযানে নামে বিআইডব্লিউটিএ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা নদী বন্দর এলাকার অধীনে ২১০ দশমিক ৫৭ একর ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর এলাকার অধীনে ৯০ একর তীর ভূমি উ’দ্ধা’র করা হয়।