গাইবান্ধায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে শিকলে বাঁধা মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও মে’য়ে রেহেনার (২১) পাশে দাঁড়ালেন গাইবান্ধা পু’লিশ সুপার তৌহিদুল ই’স’লা’ম। আজ সোমবার ( ৪ এপ্রিল) দুপুরে পু’লিশ সুপার সদর উপজে’লার খোলাহাটি ইউনিয়নের উত্তর আনালেরতাড়ী গ্রামে তাদের বাড়িতে যান। সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে তিনি খাদ্য ও আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতা’লে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
মানসিক ভা’রসাম্যহীন মোহাম্ম’দ আলীর স্ত্রী’ হালিমা বেগম জানান, মোহাম্ম’দ আলী কৃষিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ মানসিকভাবে অ’সুস্থ তিনি। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে খুব কম বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় মে’য়ে রেহেনার। বিয়ের অল্প দিনেই মানসিক ভা’রসাম্য হারান রেহেনাও। পরে বেশি অ’সুস্থ হলে বাবার বাড়িতে রেখে যায় রেহেনার স্বামীর পরিবার।
এদিকে মোহাম্ম’দ আলীরও দিন দিন মানসিক ভা’রসাম্যহীনতা বেড়ে যায়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে বাবা-মে’য়ে দুজনেই পরিপূর্ণভাবে মানসিক ভা’রসাম্য হারায়। মোহাম্ম’দ আলী মাঝে মধ্যেই জিনিসপত্র ভাঙচুর এবং লোকজনকে মা’রধর করেন। মে’য়ে রেহেনা মাঝে মাঝে হারিয়ে যায়। এসব কারণে তাদের শিকলে বেঁধে রাখা হয়। তাদের সামান্য যে জমি ছিল সেটি বিক্রি করে চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করা হয়। তখন থেকেই মোহাম্ম’দ আলীর স্ত্রী’ হালিমা বেগম অ’তি ক’ষ্টে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসারের হাল ধরেন। পরে অসহায় পরিবারের বাবা-মে’য়ের দীর্ঘদিনের শিকলব’ন্দি জীবন স’ম্প’র্কে জানার পর ছুটে আসেন গাইবান্ধার পু’লিশ সুপার তৌহিদুল ই’স’লা’ম।
পু’লিশ সুপার বলেন, দীর্ঘদিন একটি অসহায় পরিবারের বাবা-মে’য়ের শিকলব’ন্দি জীবন স’ম্প’র্কে জানতে পেরে তাদেরকে দেখতে যাই। সেখানে তাদেরকে কিছু নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা করি। পু’লিশের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ খরচে পাবনা মানসিক হাসপাতা’লে বাবা-মে’য়ের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন । এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পু’লিশ অসহায় পরিবারের পাশে আছে থাকবে।