মুন্সীগঞ্জে পাহারা দেয়া অবস্থায় তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, আহত-১
মুন্সিগঞ্জের সদরে আলু পাহারা দেওয়া অবস্থায় এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় আরো এক তরুণকে পিটিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার(৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সুমার ঢালিকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে।
নিহত তরুণের নাম মোঃ মিজান খা(২১) পূর্ব সুমারঢালী কান্দির মোহাম্মদ আলী আকবরের ছেলে। আহত তরুণের নাম আব্দুর রহমান(২১)। তারা দুজন মিজানের খালাতো ভাই সুমন ঢালীদের বাড়িতে থাকত। রাতে জমি থেকে উত্তোলিত আলু পাহারা দিত।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় মিজি বংশের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
মিজানের খালাতো বোন রেহানা বেগম বলেন, মিজান ও আব্দুর রহমান রাতে আমাদের জমির উত্তোলিত আলু পাহারা দিত। কখনো বাড়িতে থাকতো,কখনো আলুর পাশে বানানো ডেরা ঘরে থাকতো।
সোমবার রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম।
মিজান জমিতে আলু পাহারা দিচ্ছিল। রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রহমানের কান্না- চিৎকারে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আব্দুর রহমানের মাথা ও নাক মুখ থেকে রক্ত ঝরছে। তখন আব্দুর রহমান আমাদের বলে স্থানীয় মিজি বংশের
শুভ মিজিরা ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের উপর হামলা করে। সে কোন রকমে দৌড়ে পালিয়ে এসেছে।
রাত দুইটার দিকে আমরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে মিজানের লাশ দেখতে পাই।
নিহতের পিতা মোঃ আলী আকবর
বলেন, চার ছেলে ও এক মেয়ে তার। সবার ছোট ছিল মিজান। খুব আদরের ছিল। ঢাকায় থাকতাম আমরা। ছেলেটা আইডি কার্ড করার জন্য গ্রামের বাড়িতে এসেছিল।ওর খালাদের বাড়িতে থাকতো। কে জানত আইডি কার্ড করে আর ঢাকায় ফেরা হবেনা। যারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল আমরা তাদের বিচার চাই।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম এ কালাম মঙ্গলবার সকালে বলেন, শুনেছি রাত দুইটার দিকে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের আঘাতে আব্দুর রহমান আহত হয়েছেন। ভোর চারটায় আমাদের হাসপাতালে আসে। তার মাথায় ও নাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব খান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ সেখানে যায়। মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধারালো ছুরির আঘাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।