মৌমিতা দত্ত,চুনারুঘাট প্রতিনিধি,সিলেট হবিগঞ্জঃ
ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী ছিলেন একাধারে মানবতাবাদী দার্শনিক, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্যাখ্যাতা। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে World Fellowship of Faiths-এ মহানামজী এশিয়ার সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। ব্রিটিশ ভারতে গান্ধীজীর আহ্বানে বিভিন্ন আন্দোলনে যোগ দেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি নয় মাস অন্ন গ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন। আজও তাঁর অনেক কবিতা ও প্রবন্ধ দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
গতকাল রবিবারে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান, বিশ্ববরেণ্য মানবতাবাদী দার্শনিক, দেশ প্রেমিক ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারীজীর ‘জীবন দর্শন ও স্বদেশ ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় হবিগঞ্জের টাউন হলে। মহানামব্রতজীর দর্শন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনার উপ-পরিষদের আহ্বায়ক দুলাল দেব। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি শ্রীমৎ কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী, তিনি সেমিনারে উপস্থিত সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি. এস. সি মিলনায়তনে আয়োজনকৃত ‘ড মহানামব্রত স্মারক বক্তৃতা, গুণীজনদের সম্মাননা ও কৃতি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’-এ যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর নিখিল রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ তোফাজ্জল আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক বীরেন্দ্র লাল রায়, সিলেট শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সেবা সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রমথ সরকার, রোটারীয়ান ও শিশু সংগঠক বাদল রায়। সেমিনারের মূল প্রবন্ধের লেখক প্রকৌশলী মনোজবিকাশ দেবরায়। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জ মহানাম সেবক সংঘের সভাপতি সজল চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৌমিতা দত্ত।
সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জল আলীর ‘মহানামব্রত ব্রহ্মচারী ও বৈষ্ণব দর্শন’ বিষয়ক লেখা প্রকাশিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দর্শন ও প্রগতি’ বিষয়ক জার্নালে, তিনি মহানামব্রতজীর দর্শনের উপর পিএইচডি করছেন।
প্রমথ সরকার এবং তোফাজ্জল আলী তাদের বক্তব্যে ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারীজীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানান।